বড়সড় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে ভারতকে চাপে ফেলার জন্য। তুর্কিস অফিসিয়াল এজেন্সি বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে টাকা বিনিয়োগ করছে । সেটা ভারতকে ধ্বংস করার জন্য। এরকম একটি গোয়েন্দারিপোর্ট সামনে আসতেই হইচই শুরু হয়ে যায়। কারণ সেটা ভারতের জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। কিন্তু এতে থেমে নেই ভারতবর্ষ। পাল্টা মাস্টারস্ট্রক দিয়েছে ভারতও। ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের এই মাস্টার স্ট্রোক নিঃসন্দেহে তুরস্ক পাকিস্তান এবং তাদের দোসর বাংলাদেশের ডানা ছেটে দিল, সেটা বলাই যায়।
যে গোয়েন্দা রিপোর্ট সামনে এসেছে, তাতে বড়সড় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে, সেটা আর বুঝতে বাকি নেই কারও। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, তুর্কিস ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বাংলাদেশে টাকা দিচ্ছে। এমনকি এই রিপোর্ট জামাতি ইসলামীর নাম উল্লেখ ছিল। তুর্কি সরকার এই স্ট্র্যাটেজের পার্টনার করতে চাইছে পাকিস্তানের আইএসআই। বাংলাদেশ এবং তুর্কি একসঙ্গে ভারতকে বিপদে ফেলতে চাইছে। এমনকি ওই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ঢাকাতে জামাতের নতুন অফিসের টাকা তুর্কি থেকে আসে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রগতিশীল বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক পোস্টার দেখা গিয়েছিল। জানা গিয়েছে,ওই পোস্টারগুলি লাগিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। আর সেই সংস্থাতে টাকা ছিল তুর্কির অফিসিয়াল সংস্থা থেকে। জানা গিয়েছে, সেই পোস্টারে ছিল, বৃহত্তর বাংলা গড়ার ডাক। এমনকি তার মধ্যে বাংলার কিছু অংশকে ঢোকানোর কথা বলেছিলেন তারা। অর্থাৎ ভারতকে টুকরো করার কথা ভাবছে তারা। এরপরই নড়েচড়ে বসতে শুরু করে ভারত। এমনকি এখান থেকেই ভারতের সেভেন সিস্টার্স কে অশান্ত করার পরিকল্পনা উঠে আসে। এবার ভারতে অ্যাকশন নিল। এর আগে দেখা গিয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে তুর্কিকে জব্দ করেছিল ভারত। এবার হল কূটনৈতিক স্তরে। ভারতের তরফে ঘোষণা করা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সফরের কথা ঘোষণা করা হয়। সেখানে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি সেভেন সামিটে যাওয়ার পথে সাইপ্রাসে যাবেন। কিন্তু হঠাৎ কেন? এই প্রশ্নটা আরও বেশি করে উঠছে তার কারণ, ২৫ বছর ধরে কোনও ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাইপ্রাসে যাচ্ছেন। শেষবার হয়েছিল ২০০২ সালে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা, সাইপ্রাস এমন একটি জায়গা, যেটি তুর্কির সঙ্গে লড়াই করার জন্য ভারতের একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে কাজ করবে। এমনকি তিনি ফেরার সময় ক্রোয়েশিয়া যাবেন। , আর মনে করা হচ্ছে, ভারত গ্রিস,আরমানিয়া, সাইপ্রাস এদেরকে কাজে লাগিয়ে তুর্কির বিরুদ্ধে বড় শক্তি গড়ে তুলতে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে সাইপ্রাসের সঙ্গে তুরস্কের একটা দ্বন্দ্ব রয়েছে। তারা দু ভাগে ভাগ করতে চেয়েছিল সাইপ্রাসকে। আর সেই দেশকেই কাজে লাগিয়ে তুর্কের বিরুদ্ধে বড় শক্তি গড়ে তুলতে চাইছে ভারত বর্ষ। অর্থাৎ ভারতের বিদেশ দপ্তর প্রধানমন্ত্রী কে দিয়ে এই কূটনৈতিক চালটা চেলে দিল।
এদিকে তুরস্ক একটি বিষয় ঘোষণা করেছে। তারা শুধুমাত্র বাংলাদেশকে টাকা যোগাচ্ছে তাই নয়, তারা শক্তিশালী স্টাটেজি তৈরি করতে চাইছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে কাজে লাগিয়ে। তুর্ক বলছে, তারা নাকি বাংলাদেশের ডিফেন্স কমপ্লেক্স তৈরি করতে ফান্ডিং যোগাবে বাংলাদেশকে। অনেকে বলছেন, অপারেশনের সিঁদুরের সময় বিপুল পরিমাণে অস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিল তুরস্ক। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও কাজ করতে চাইছে তুর্কি। তবে এক্ষেত্রে ভারতের বিদেশ দফতর যে কাজটা করে ফেলল, তাতে নাকানি চোবানি খেতে হবে তুর্কি, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানকে।
Discussion about this post