মহেশতলার একটি তুলসী মঞ্চ থেকেই সূত্রপাত এই ঘটনার। রণক্ষেত্র রূপ নেয় গোটা পরিস্থিতি। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করে, পুলিশবাহিনী কোথায়? জানা গিয়েছে, মহেশতলায় একটি শিব মন্দিরের সামনে দোকান নির্মাণ ঘিরে অশান্তি তৈরি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা একটি ছোট তুলসী মঞ্চ তৈরি করেন এই ঘটনার বিরোধিতা করে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে অশান্তি শুরু হয় ওই এলাকায়। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা তুলসী মঞ্চ তৈরির প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন। পরে সেখান থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি অভিযোগ, শিব মন্দির ও তুলসী মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনা লক্ষ্য করা যায়। ওই এলাকার পুলিশ ১০টি পুলিশ পিকেট বসিয়েছে। এমনকি এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা। কারফিউ জারি রয়েছে রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশ ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর এই ঘটনার পুলিশকে সময় বেঁধে দিয়ে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক কি বলেছেন তিনি শুনুন
পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে না পারলে সমস্ত বিধায়ককে নিয়ে হাজির হবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে হিংসা চলাকালীন কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক জখম হন ওই ঘটনায়। তারপর বাড়ানো হয় পুলিশ ফোর্স। নিয়ন্ত্রণে আনা হয়পরিস্থিতি। পুলিশের ব্যর্থতার কথা এরকমভাবে স্বীকার করে নিয়েছেন এসপি ডায়মন্ডহারবার। তবে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এদিকে বিরোধীরা প্রশ্ন করছে, কখনো মালদা, মুর্শিদাবাদ আবার কখনো মহেশতলায় হিন্দু মুসলিমদের দ্বন্দ্ব। যা বারে বারে গোটা রাজ্যকে ভাবাচ্ছে। কেন বারে বারে এই ধরনের ঘটনা বাংলার বুকে? কেন প্রশাসন, সরকার আয়ত্তে আনতে পারছে না? প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বিরোধীদের তরফে। যদিও এখন পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত। এখন দেখার, এই ঘটনার জল কোথায় গিয়ে গড়ায়।
Discussion about this post