ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার সরাসরি চ্যালেঞ্জ নওশাদকে। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় থেকে নওশাদ সিদ্দিকীকে হারাবেন। আর না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার দাবি শওকত মোল্লার।উল্লেখ্য, সম্প্রীতি ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ভোটের ধরার আহ্বান জানিয়েছেন ভাঙ্গরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। আর সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ করে দিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা সৃষ্টি করেছেন নওশাদ। আর এরপর বিকৃতি ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার কটাক্ষ, “একইভাবে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগেও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে তার বিরুদ্ধে ভোটে লড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়াবে বলে ঘোষণা করে শেষে পালিয়ে গেছিল। আর এখন আবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়ার কথা বলছে। অর্থাৎ কুঁজোরও ইচ্ছে হয় চিৎ হয়ে শুতে।” ভাঙ্গরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী খোঁচা মেরে কি বললেন শওকত মোল্লা শুনুন,,,
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু ভাঙ্গরেও, সম্প্রতি নওশাদ তার প্রস্তুতির কথাও স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তো চাই ভাঙড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। আমি চাইনা তৃণমূলের অন্য কোনও নেতা আমার বিরুদ্ধে ভোটে লড়ুক।’
আবার ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর ভাই কাশেম সিদ্দিকীকে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তবে তৃণমূল কি তাঁকেই আগামী বিধানসভা ভোটে নওশাদের বিরুদ্ধে দাড় করাতে চাইছে? এর পরিপ্রেক্ষিতে নওশাদ বলেন, ‘কাসেম ভাই এর এই সিদ্ধান্তে তাঁকে রাজনৈতিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে এই সিদ্ধান্তে আমি খুশি নই। কারণ, তৃণমূল একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দল। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে নওশাদের এই সরাসরি চ্যালেঞ্জে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছিলেন ভাঙ্গরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী শুনুন,,
সম্প্রতি,কাশেম সিদ্দিকীকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে এনে বড় চমক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেওয়া হতে পারে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্যরাজনীতিতে। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের মাস্টার স্ট্রোক কাশেম সিদ্দিকী হতে পরে বলেও মনে করা হচ্ছে । দলের অন্দরের জল্পনা ভাঙড়ে নওশাদের বিরুদ্ধেই কাশেমকে প্রার্থী করতে পারে দল। সোমবার তৃণমূলের রদবদলের তালিকা প্রকাশ হতেই প্রকাশ্যে আসে কাশেম সিদ্দিকীকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে বসানোর খবর।
Discussion about this post