৩০ এপ্রিল দীঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন করা হয়। আর সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যের প্রতিটি মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে প্রভু জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ। আর সেই মতোই ১৭ই জুন থেকে প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া শুরু হয়েছে। ৪ঠা জুলাই পর্যন্ত চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার রেশন ডিলার এবং রেশন দোকানের মাধ্যমে এই প্রসাদ বিতরণের কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় মিষ্টির দোকানে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ এনে সেখান থেকে গজা এবং প্যারা তৈরি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করছে রেশন দোকানগুলি। তবে এই প্রসাদ বিতরণের খরচ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। তবে কি জগন্নাথ দেবের প্রসাদেও দুর্নীতি? বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি করছেন, প্রসাদ বিলিতে ৪২ কোটি টাকা দিচ্ছে হিডকো। ঠিক কি বলছেন তিনি, শুনুন
এর আগে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেন, জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ হিসেবেই গজা, প্যারা তৈরি হচ্ছে জুতো পড়ে, পাম তেলে ভাজা হচ্ছে।এমনকি মুর্শিদাবাদের একটি মিষ্টির দোকানে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ তৈরীর জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেই দোকানে নাকি হালাল খাবার তৈরি করা হয়। আর সেই দোকানেই তৈরি হচ্ছে প্রভু জগন্নাথ দেবের প্রসাদ। আর এই অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। কি অভিযোগ রয়েছে তার শুনুন
আর এই অভিযোগগুলো সামনে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। কেউ কেউ বলছেন, রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির পর এবার প্রসাদ দুর্নীতিও আসতে চলেছে। এমনকি ৪২ কোটি টাকা খরচ করে সে প্রসাদ তৈরি করা হচ্ছে, সেটা নিয়েও বিরোধীরা সুর চড়াচ্ছে। অনেকে বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী সরকারি টাকা কোন ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করা যায় না। তাহলে রাজ্য সরকার কেন করছে? শুধুমাত্র ভোট টানতে? উঠছে প্রশ্ন।
Discussion about this post