তীব্র গরমে নাজেহাল। এতটাই গরম পড়েছে যে শরীর খারাপ হচ্ছে। সেই সঙ্গে নিত্যদিন লেগেই আছে পেটে ব্যাথা, বমি জ্বরের মতো নানা সমস্যা। এই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলেই খেতে হয় একগাদা ওষুধ। তাতে সমস্যা বেড়ে যায় দ্বিগুন। তবে আজও অনেকের বাড়িতে মা ঠাকুমারা আজও বলে থাকেন, পেটের সমস্যা হচ্ছে? চিন্তা কি। খেয়ে নে জল ঢালা পান্তা। তবেই হবে সমাধান। তবে বর্তমান সমাজের অনেকেই আবার পান্তা ভাতের নাম শুনলেই নাক সিটকান। বর্তমান প্রজন্ম জানেই না সেকালের মা ঠাকুমাদের মুখে শোনা পান্তার গুন। এই পান্তায় রয়েছে বিভিন্ন গুনাগুন, জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
গবেষণা বলছে, আগের দিনে রেঁধে রাখা ভাত যদি পরের দিন জল ঢেলে খান, তাতে শরীর যেমন ঠান্ডা করে তেমনই বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও দারুন কার্যকরি। শুধু বাঙালিরাই নয়, অবাঙালিদেরও পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই খাবারটি। জলে ফেলে রাখা ভাত দীর্ঘক্ষণ থাকার ফলে সেটি ফুলে যায়। যার ফলে এর মধ্যে তৈরি হওয়া শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড রোধ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এছাড়াও পান্তা ভাতে আছে, প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইট্রেট। যা অন্ত্রের সংক্রমণ রোধ, ভালো হজমশক্তি, ত্বকের উজ্জ্বলতার পাশাপাশি সুন্দর চুলের জন্য কাজ করে। পান্তা ভাত মানব দেহে ইলেক্ট্রোলাইট হিসাবে কাজ করে। যা নিমেশের মধ্যে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং ডিহাইড্রেশন নিরাময় করতে সক্ষম।
সেই সঙ্গে এই মধ্যে রয়েছে পটাসিয়াম। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের ক্ষেত্রেও এই ভাতের ভুমিকা অপরিসীম। তবে আর কি, সকাল কিংবা রাত, আপনার খাবারের পাতে রাখতেই পারেন রোগ প্রতিরোধকারী এই খাবারটি। সঙ্গে যদি আলু মাখা, কাঁচা লঙ্কা, শশা – পিঁয়াজ থাকে তাহলে তো কথাই নেই। যদি আপনারা এর সঙ্গে আরও বেশ কিছু মুখোরোচক খাবার যুক্ত করেন, তাহলে তো বাজিমাৎ।
Discussion about this post