ভারত জুড়েই বেড়ে চলেছে ভূতুরে শপিং মলের সংখ্যা। এরমধ্যে আমাদের প্রিয় শহর কলকাতাও রয়েছে। ২০২২ সালের তুলনায় দেশে ভূতুরে শপিং মল বা ঘোস্ট শপিং মলের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫৯ শতাংশ। ফলে লোকসান হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। সম্প্রতি নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়া নামে এক সংস্থা তাঁদের ‘থিঙ্ক ইন্ডিয়া থিঙ্ক রিটেল ২০২৪’ নামে এক সমীক্ষা রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে আপনারা যা ভাবছেন তা নয়। ব্যবসায়িক পরিভাষায় এই ঘোস্ট শপিং মল মানে হচ্ছে এমন শপিং মল যেখানে অধিকাংশ দোকান বা শোরুম খালি পড়ে থাকে বা উপভোক্তার সংখ্যা অত্যন্ত কম।
প্রখ্যাত রিয়েল এস্টেট কনসাল্টেন্সী ফার্ম নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়া তাঁদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে এই ধরণের শপিং মলের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালেই ভূতুরে শপিং মলের জন্য ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬,৭০০ কোটি টাকা। ২০২২ সালে যেখানে ভারতে মোট ৫৭টি ঘোস্ট শপিং মল চিহ্নিত ছিল, এক বছরের মধ্যেই তা বেড়ে হয়েছে ৬৪টি। ফলে লোকসানের অঙ্কও বেড়েছে। তবে ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই এই ধরণের শপিং মলের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে।
নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়া-র রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের ৪টি বড় শহরেই ভূতুরে শপিং মলের সংখ্যা ৬৪টি। এরমধ্যে রাজধানী দিল্লিতে ২১টি, বেঙ্গালুরুকতে ১২টি, মুম্বইয়ে ১০টি এবং কলকাতাতে ৬টি। পাশাপাশি হায়দরাবাদে ৫টি, আহমেদাবাদে ৪টি এবং চেন্নাই এবং পুনেতে ৩টি করে ভূতুরে মল রয়েছে। এরমধ্যে দিল্লি এনসিআরে মোট ৫৩ লক্ষ স্কোয়ার ফুট ঘোস্ট শপিং সেন্টার রয়েছে। যেখানে কদাচিৎ উপভোক্তাদের পা পড়ে। গত বছরে ১৬টি শপিং মল পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতায় ২০২৩ সালে মোট ১১ লক্ষ স্কোয়ার ফুট এলাকা ভূতুরে শপিং মলে পরিনত হয়েছে।
পৌষেও বৃষ্টির ভ্রুকুটি! সপ্তাহান্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাংলায়। পার্বত্য এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনাও জারি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার পরোক্ষ প্রভাবে এই বৃষ্টি ও তুষারপাত।...
Read more
Discussion about this post