জলকে যেমন আমাদের জীবন বলা হয়, তেমনি গাছ থেকে যে অক্সিজেন পাই আমরা, সেটিও সমান ভাবে আমাদের জীবন রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফলে গাছ লাগানো দরকার, কারণ গাছ যেমন পরিবেশ রক্ষার্থে সাহায্য করে, তেমনি আমাদের জীবন রক্ষার্থে তার বিশেষ অবদান আছে। বিশেষ করে শয়ন কক্ষে গাছ লাগানোর বিশেষ প্রয়োজন। সেটি আমাদের পর্যাপ্ত অক্সিজেন যোগান দেবে , তেমনি আমাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে মানসিক দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা ও উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য শোবার ঘরে গাছ লাগানো, বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। ক্ষতিকারক গ্যাসগুলো আমাদের মাথা ব্যাথা, অ্যালার্জি, মানসিক সমস্যা, ইত্যাদির জন্য দায়ী। তাই সেই ক্ষতিকারক গ্যাসগুলি থেকে আমাদের শয়ন কক্ষেকে দূষণ মুক্ত রাখা প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গেছে, ক্ষতিকারক কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, অ্যামোনিয়া ইত্যাদি ক্ষতিকারক গ্যাস শোষণ করে এবং আমাদের স্বাস্থ্যের উপযোগী অক্সিজেন গ্যাস দেয় এই গাছগুলি। জেনে নেওয়া যাক, গাছগুলির বিশেষ উপকারিতা সম্পর্কে এবং আমাদের ঘরে তাদেরকে কেনও লাগাবো।
স্পাইডার প্ল্যান্ট
ঘরের ভিতরের বাতাসকে সুস্থ রাখতে এই গাছের বিশেষ ব্যবহার দেখা যায়। বিশেষ করে বিষাক্ত ধোঁয়া, ধূমপানের ক্ষতিকারক ধোঁয়ার মধ্যে উপস্থিত ক্ষতিকারক পদার্থগুলিকে শুষে নিতে বিশেষভাবে কাজ করে এই গাছ।
ল্যাভেন্ডার
মন ভালো রাখতে এর বিশেষ কার্যকারিতা রয়েছে। এছাড়া ঘরের মধ্যে একটি পজেটিভ ভাইব্রেশন পাওয়া যায়, এই গাছ লাগানোর মাধ্যমে।
অর্কিড
ঘরের পরিবেশকে সুস্থ রাখার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মানসিক স্বাস্থেরও বিশেষ খেয়াল রাখে। তাছাড়া সম্পর্ক ভালো রাখতে ও এই প্ল্যান্টের জুড়ি মেলা ভার।
জেসমিন
শরীর ও মনকে শান্ত রাখতে এই ফুল গাছের জুড়ি মেলা ভার। এর সাদা শুভ্র শোভা যেমন ঘরের সৌন্দর্যকে সুন্দর করে তোলে, তেমনি এর গন্ধ আমাদের মনকে আনন্দে ভরিয়ে তোলে, সঙ্গে সঙ্গে ঘরের পরিবেশকেও সুন্দর এবং মনোরম করে তোলে।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা যেমন আমাদের রূপচর্চার জন্য বিশেষ উপযোগী, তেমনি শরীরের জন্যও এই প্ল্যান্টটি সমান উপযোগী। ভালো ঘুমের জন্য এই প্ল্যান্টটিকে শয়ন কক্ষে রাখা যেতেই পারে। তাছাড়া এই প্ল্যানটি আমাদের ঘরকে শোভাদান করে।
গার্ডেনিয়া
উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা ও মানসিক ক্লান্তিকে দূরে রাখে এই গাছ।
বোস্টন ফার্ন
বিশেষ জনপ্রিয়তা আছে এই গাছের। ইনডোর প্ল্যান্ট হিসাবে এই গাছের গুরুত্ব অপরিসীম।
Discussion about this post