ধোনির সৌজন্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলা সহজ। কিন্তু আসল ঘটনাটা কি, তা না জেনে প্রশ্ন তোলাটা ঠিক নয়। ঘটনাটি হল বেঙ্গালুরুর কাছে হারার পর ধোনি নাকি সৌজন্য মূলকভাবে হাত না মিলিয়েই চলে যান। কিন্তু ঘটনাটা ঠিক তা নয়। রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু ম্যাচ জেতার পর বেশ কিছুক্ষন ধরে ম্যাচ জেতার আনন্দ উপভোগ করে চলেছেন, অন্যদিকে ধোনি ম্যাচের নিয়ম মেনে তার দলের সকল খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঠে নামেন, বিপক্ষ দলের সদস্যদের সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য।
কিন্তু বেঙ্গালুরু তখন তাদের ম্যাচ জয়ের আনন্দে মত্ত। স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন প্রায় বেশ কিছুক্ষন সকলের সঙ্গে তিনি মাঠে অপেক্ষা করছিলেন। তার যে পায়ে যন্ত্রনা হচ্ছে সেটাও বোঝা গেছে, কারণ বার বার তিনি তার যন্ত্রনা চাপার জন্য হাত দিয়ে চেপে ধরছিলেন যন্ত্রনার জায়গাটা। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর তিনি মাঠ ছেড়ে চুপচাপ চলে যান। তবে যাবার আগে আরসিবিরই কিছু খেলোয়াড় এবং কিছু সহযোগী সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যান। আর এখানেই শুরু হয় সমালোচা আলোচনা। অনেকে ধোনির এই ব্যবহারকে ঔধত্য বলে মনে করেন। তাদের মতে ধোনির হাত না মিলিয়ে চলে যাওয়াটি মোটেই উচিৎ হয়নি।
কিন্তু আরসিবিতো জিতেছিল, তাদেরই উচিৎ ছিল হেরে যাওয়া টিমের সঙ্গে আগে হাত মেলানোর। আর অনেকই হয়তো জানেন না হাত মেলানোর এই নিয়ম কেন। আসলে হাত মিলিয়ে এটা বোঝানো হয় যে আমাদের প্রতিযোগীতার এখানেই শেষ। আমরা মাঠে খেলার নিয়ম মেনে কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়িনি। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার পর আমাদের আর কোন প্রতিস্পর্ধা নেই। তবে ধোনির সৌজন্য বোধের কথা বলতে গেলে তিনি যখন বড় বড় ম্যাচ জিতেছেন বা হেরেছেন তখন তিনিই সবার আগে গিয়ে বিপক্ষ দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তার পর জয়ের আনন্দ করেছেন বা বলা ভালো টিমমেটদের সেটা করতে বাধ্য করেছেন।
খুব বেশী দুরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই,মাত্র এক বছর আগেই গুজরাটের কাছে জিতে তিনিই তার দলের সদস্যদের মনে করিয়ে দেন বিপক্ষ দলের সদস্যেদের সঙ্গে হাত মেলানোর কথা। তিনিই সেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনি যিনি, সৌরভকে তার শেষ ম্যাচে অধিনায়ক পদে বসিয়ে তার বিদায়ী ম্যাচকে স্মরণীয় করিয়েছেন । তবে এই ঘটনার বেশ কিছুক্ষন পরে হলেও কোহলি, ধোনিকে খুঁজতে খুঁজতে তার কাছে পৌঁছে যান, যা দুই দলের ফ্যানদের কাছেই স্বস্তির ।
Discussion about this post