বাকিং হাম প্যালেসের কথা আমরা মোটামুটি সবাই শুনেছি। বর্তমানে এটি একটি পর্যটক আকর্ষণ। ব্রিটিশ রাজ পরিবারের লন্ডনের বাসস্থান এটি। বর্তমানে পৃথিবীর বৃহত্তম রাজকীয় প্রাসাদ এটি। এছাড়া ভারতের সবচেয়ে ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ১৫ হাজার কোটির বাড়ি অ্যান্টিলিয়া তৈরি হয়েছে ৪৮ হাজার ৭৮০ বর্গফুট এলাকায়। সেই বাড়ির থেকেও বৃহত্তম রাজপ্রাসাদ ভারতে অবস্থিত । গুজরাটের বরোদার গায়কোয়াড় পরিবারের লক্ষ্মী বিলাস প্যালেস। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত প্রাসাদের তকমা পেয়েছে । যেখানে এখন থাকেন সমরজিৎসিংহ গায়কোয়াড় ও ওনার স্ত্রী রাধিকারাজে গায়কোয়াড় ।
এক সময় বরোদার গায়কোয়াড় পরিবারের অনেক নাম ডাক ছিল, এলাকায় রীতিমত রাজ করতো এই গায়কোয়াড় পরিবার। এখনো এলাকায় নামডাক আছে এই রাজ পরিবারের। এই প্রাসাদটি এখন, মুকেশ আম্বানিও নীতা আম্বানির বাড়ি এমনকি বিশ্বের বৃহত্তম প্রাসাদ বাকিংহাম প্রসাদের থেকেও ৪ গুণ বড়ো।
১৮৯০ সালে মহারাজা সয়াজিরাও গায়কোয়াড় এই রাজপ্রাসাদটির নির্মাণ করেন। বাড়ির প্রাসাদ সংলগ্ন একটি গলফ কোর্স রয়েছে। প্রাসাদটি তৈরি করতে খরচ হয় ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা।৩ কোটি ৪ লক্ষ ৯২ হাজার বর্গফুট জায়গার উপরে এই প্রাসাদটি তৈরি করা হয়।এখনো স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এই রাজ পরিবারের বিশেষ নাম ডাক রয়েছে। সমরজিৎসিংহ গায়কোয়াড় ও ওনার স্ত্রী রাধিকারাজে গায়কোয়াড় এখন বর্তমানে প্রাসাদের মালিক।এটি এখন আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম রাজপ্রাসাদ। যা গুজরাটের গায়কোয়াড় রাজবংশের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। ১৯৭৮ সালে ১৯ জুলাই গুজরাটের ওয়াঙ্কানারে বরোদার মহারাণি, বর্তমানে গায়কোয়ার প্যালেসের মালিক রাধিকারাজের জন্ম হয়। পরে তার বাবা আই এ এস অফিসার হওয়ার জন্য এই রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে আসেন।
তবে বর্তমানে গুজরাটের অবস্থিত, এই গায়কোয়ার রাজপ্রাসাদের কাছে তুচ্ছ নীতা অম্বানী ও মুকেশ আম্বানীর বাড়ি। তবে ইদানিং কালে ভারতে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই রাজপ্রাসাদ, শুধু ভারতে নয় বিশ্বের কাছে ও বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে বৃহত্তম প্রাসাদটি।
Discussion about this post