আজ ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। কিন্তু ২৩ থেকে ২৫ মে-এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত শহর দিঘাতে বুকিং বন্ধ করল হোটেলগুলি। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিও তমলুক এই দুই লোকসভা কেন্দ্রের আসনের ভোট সেই কারণেই প্রশাসনের তরফে ২৩ তারিখ সমস্ত হোটেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৫ তারিখ পর্যন্ত কোনও বুকিং নেওয়া যাবে না। ২৬ তারিখ থেকে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারে বাঙালির প্রিয় কেন্দ্র দিঘা । যদিও আবহাওয়া দফতরের মতে ২৬তারিখে রেমাল এর জেরে দিঘায় সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছ। শুক্রবার থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকেদিঘা সহ দিঘা উপকূল জুড়ে সতর্ক বার্তা জানিয়ে মাইকিং শুরু হয়েছে বলে রামনগর -১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই সার জানিয়েছেন।
এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই সার জানান, “ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসনের যাবতীয় ছুটি বাতিল করা ছাড়াও দিঘায় ৪টি রেসকিউ সেন্টার সহ মোট ১০টি রেসকিউ সেন্টার খোলা ছাড়াও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়ছে।” প্রশাসনের তরফে দিঘার হোটেল গুলি ২৩ মে থেকে ২৫মে পর্যন্ত বুকিং ও হোটেল বন্ধ রাখার মৌখিকভাবে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দিঘার হোটেল মালিক সংগঠনের থেকে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে কাঁথির মহকুমা শাসক ও দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক শৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, “২৩ থেকে ২৫ মে দিঘায় হোটেল বুকিং বাতিলের বিষয়ে প্রশাসন কিংবা পর্ষদের কোনও ভূমিকা নেই। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনেই নির্বাচনের সময় বহিরাগত লোকজন হোটেলে না রাখার জন্যে বলা হয়েছে।” দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, “পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের কথা ।
বেড়াতে এসে পর্যটকরা যাতে সমস্যায় না পড়েন তার জন্যে ২৩ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত কোন বুকিং না নেওয়ার জন্যে হোটেল মালিকদের বলা হয়েছে। ২৩তারিখ পর্যন্ত হোটেল গুলিতে যে সব পর্যটক ছিলেন তাদের একটা অংশ গতকাল বৃহস্পতিবার ই ফিরে গেছেন শুক্রবার বাকিরা সকাল থেকেই বাড়ি ফিরছিলেন যাচ্ছেন। কার্যত শুক্রবার থেকেই দিঘা পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে।”
Discussion about this post