মৃতকে সৎকার করার সময় চুল্লিতে দেওয়া যাবে না বালিশ, কম্বল, কাঁথা। দূষণ ঠেকাতে তৎপর কলকাতা পুরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার অধীনে রয়েছে সাতটি মহাশ্মশান। যেগুলি হল দক্ষিণ কলকাতা সহানগর বার্নিং ঘাট, উত্তর কলকাতার নিমতলা মহাশ্মশান, শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ মহাশ্মশান, স্ট্যান্ড ব্যাঙ্ক রোডের কাশিমিত্র ঘাট, বোরালে গড়িয়া মহাশশ্মান, শিরিটি শশ্মান, বীরজুনাওয়ালা বার্নিং ঘাট। প্রতিটি শ্মশানেই দুটি করে চুল্লি রয়েছে। বৈদ্যুতিক চুল্লিতে মৃতদেহের সঙ্গে বালিস, কাঁথা, কম্বল নিয়ে ঢুকতে বাঁধা দিলেও, কখনও কখনও কাঠের চুল্লিতে মৃতদেহের সঙ্গে সর্বস্বই দিয়ে দেওয়া হয়। ফলে মৃতদেহের সঙ্গে আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে জিনিশপত্রগুলোও। যা পুড়ে যাওয়ার ফলে দূষিত করছে পরিবেশকে।
পরিবেশবিদদের মতে, এই জিনিশগুলি পুড়ে গিয়ে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বিপজ্জনকভাবে বাতাসে ভেসে বেরাচ্ছে দূষিতকণা আকারে। এই কণাগুলিকে বলা হয় পার্টিকুলের ম্যাটার ২.৫। নিশ্বাসের ফলে এই পার্টিকুলের ম্যাটার ২.৫ মানব শরীরের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে সোজা চলে যায় ফুসফুসে। ফলে নিত্যদিন এই বিষাক্ত ধোঁয়া দেহে প্রবেশ করায় ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে ফুসফুস। আর এই কারনের জন্যই নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা পুরসভার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে কোনওভাবেই আর দেহের সঙ্গে বালিশ, কাঁথা, কম্বল চুল্লিতে প্রবেশ করানো যাবে না। এমনকি মৃত পরণে বলতে শুধুমাত্র পাতলা একটা কাপড় দেওয়া যেতে পারে। মৃতের সঙ্গে এমন জিনিশ দেখলে তা সরিয়ে নিতে হবে। পুরসভার অধীনে থাকা সমস্ত শ্মশানের সাব রেজিস্টারকে নির্দেশ কেএমসির।।
Discussion about this post