অনেক সময়ই মোবাইলে নানা ধরণের মেসেজ আসে। এরমধ্যে অন্যতম রিওয়ার্ড পয়েন্টের লোভনীয় বার্তা। অনেক সময়ই মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে ভেসে ওঠা সেই সমস্ত মেসেজগুলি কৌতুহলবশত গ্রাহকরা আঙ্গুল ছুঁইয়ে খুলে ফেলছেন। আর সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইলে ডাউনলোড হয়ে যাচ্ছে একটি বিশেষ অ্যাপ। যার মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মুহুর্তে গায়েব হয়ে যাচ্ছে টাকা। হ্যাকাররা এই ধরণের মেসেজ পাঠিয়ে সহজেই ফাঁদে ফেলছেন মোবাইল ব্যবহারকারীদের। এবার এই ধরণের প্রতারণা ঠেকাতে আসরে নাম স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা এসবিআই।
দেশের অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলির মতোই ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক এসবিআই গ্রাহকদের বিভিন্ন সময় রিওয়ার্ড পয়েন্ট দেয়। মূলত আর্থিক লেনদেন, বা অনলাইন ট্রানজাকশনের জন্য এই ধরণের রিওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে থাকে ব্যাঙ্কগুলি। এটি ব্যাঙ্কের কর্পোরেট লয়্যালিটি প্রোগ্রামের অন্তর্গত বলেই জানিয়েছে এসবিআই। ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি রিওয়ার্ড পয়েন্টের মূল্য ২৫ পয়সা, যা গ্রাহকদের দেওয়া হয় লেনদেনে উৎসাহিত করার জন্য। এই পয়েন্ট মাসের পর মাস জমিয়ে একটা বড় অঙ্ক হলে খরচ করা যায় কোনও কেনাকাটার জন্য। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে, এই রিওয়ার্ড পয়েন্টের অঙ্ক যখনই বেড়ে যাচ্ছে, তখনই প্রতারকরা সেটিকেই ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করছে। গ্রাহকদের মোবাইল নম্বরে রিওয়ার্ড পয়েন্ট সংক্রান্ত লোভনীয় মেসেজ পাঠিয়ে টোপ দিচ্ছেন হ্যাকাররা। আর সেই টোপ গিললেই অ্যাকাউন্ট সাফ হয়ে যাচ্ছে। এই নতুন প্রতারণার ফাঁদ সম্পর্কে এবার গ্রাহকদের সতর্ক করল এসবিআই।
স্টেস ব্যাঙ্কের শীর্ষকর্তারা জানাচ্ছেন, এই ধরণের রিওয়ার্ড পয়েন্ট সংক্রান্ত কোনও মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা এলে তা যেন ডিলিট করা হয়। বিশেষ করে হোয়াটসআপে আসা কোনও লিঙ্কে ক্লিক করতে নিষেধ করছে এসবিআই। পাশাপাশি কোনও অ্যাপের লিঙ্ক বা ফাইল ডাউনলোড করতেও মানা করছেন এসবিআই কর্তারা। তাঁদের দাবি, সাইবার প্রতারকরা এটাকেই একটা নতুন ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করছে। রিওয়ার্্ড পয়েন্টের মাধ্যমে মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ছক কষছে তাঁরা।
মূলত গ্রাহকের মোবাইলে ভুয়ো অ্যানড্রোয়েড অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজ বা এপিকে ফাইল পাঠিয়ে মুহূর্তে গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাট করে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এসবিআই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে কোনও রকম এসএমএস বা হোয়াটসআপ লিঙ্ক পাঠানো হবে না গ্রাহকদের। ফলে এবার থেকে কেউ যেন আর প্রতারকদের লোভনীয় মেসেজের ফাঁদে না পড়েন।
Discussion about this post