রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় তৃতীয় চার্জশিট পেশ করতে চলেছে ইডি। এই তৃতীয় চার্জশিটে থাকছে ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ বসুর নাম। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নগদ রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ৩৫০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। চার্জশিটে সেই বিষয়ে উল্লেখ থাকতে চলেছে। ইডি সূত্রে দাবি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এজেন্ট মারফত বিশ্বজিৎ বসুর কাছে টাকা পৌঁছে যেত। এছাড়া হাওয়ালার মাধ্যমেও বিদেশে টাকা পাচার করা হয়েছিল, এই সমস্ত তথ্য উঠে এসেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বিশ্বজিৎ বসুর যে সোনার ব্যবসা ছাড়াও একাধিক ব্যবসার হদিশ মিলেছে নতুন করে, সেই সমস্ত বিষয় উল্লেখ করা থাকবে চার্জশিটে।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। সেখানে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা রেশন দুর্নীতি মামলায় বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। ইডি-র দাবি, সেই টাকা শঙ্কর আঢ্য নামে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সেই সূত্রেই শঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়। শঙ্করের নামও দ্বিতীয় চার্জশিটে উল্লেখ করে ইডি। এবার তৃতীয় চার্জশিটে থাকতে চলেছে বিশ্বজিৎ বসুর নাম। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, বিশ্বজিৎ পাঁচ শতাংশ কমিশনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দুর্নীতির টাকা বিদেশ পাচারে কাজ করতেন। ২০১৪-২০১৫ সালে রেশন দুর্নীতির সাড়ে তিনশো কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন তিনি। ইডি’র অভিযোগ, এজেন্ট মারফত জ্যোতিপ্রিয়র রেশন দুর্নীতির নগদ টাকা পৌঁছে যেত এই ব্যবসায়ীর কাছে। এরপর তিনি সেই টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দিতেন হাওয়ালার মাধ্যমে বলে অভিযোগ।
Discussion about this post