বর্তমানে বেশ কিছু কোম্পানি দুগ্ধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য বিক্রির ব্যবসা করছেন। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্যের সাথে যুক্ত। কারণ বেশিরভাগ ব্যবসায়ীদের মতে, এটি একটি লাভ জনক ব্যবসা। কিন্তু মাতৃ দুগ্ধের ব্যবসা কখনো শুনেছেন? অবাক হচ্ছেন ? এটাই করছে বেশ কিছু কোম্পানি। মানুষের দুধকে প্রক্রিয়াজাত করে সেটাই ব্যবহার হচ্ছে গুঁড়ো দুধ হিসাবে। বিভিন্ন জায়গায় খোলা মার্কেটে যার বিক্রিও চলছে। খবর পেয়ে, তড়িঘড়ি সেটার বন্ধের হুশিয়ারি দিল কেন্দ্রীয় সরকার। মাতৃদুগ্ধের ব্যবহার বন্ধ করতে কড়া অ্যাডভাইজারি চালু করলো কেন্দ্রীয় সরকার।
মাতৃদুগ্ধ কোনওভাবে বাজারে বিক্রি করা যাবে না। সাথে এর তৈরি দুগ্ধজাত খাবার নিয়ে ব্যবসা করা যাবেনা। অ্যাডভাইসরি জারি করল, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্স অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই)। এসএফএফ-র বিশেষ আইন অনুযায়ী, মানব দুগ্ধ বিক্রি এবং তার থেকে তৈরি খাবারের ব্যবসা সম্পূর্ন আইন নিষিদ্ধ।কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা আরও হয়, অবিলম্বে মানব দুধের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।
মাতৃদুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তার থেকে বিভিন্ন দুগ্ধজাত খাদ্য তৈরি করে তার রমরমা বিক্রি চলছে। এসএফএসএসএআইয়ের বৈধ লাইসেন্স তাদের কাছে থাকা সত্ত্বেও, গোপনে সেই কাজ চালাচ্ছে তারা। বেঙ্গালুরু ভিত্তিক ব্রিটিশ সংস্থা নিওলাক্টার লাইসেন্স বাতিল করে এফএসএসএআই। তাছাড়া রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের লাইসেন্স প্রদানকারী দফতরগুলিকে, এই মর্মে সতর্ক করা হয়েছে, যে সমস্ত কোম্পানি মানব দুধের বিক্রির ব্যবসা করছে, তাদেরকে যেন কোনওভাবেই লাইসেন্স প্রদান করা না হয়।
জানা যাচ্ছে, যেসব মহিলারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে আছেন, তাদের কাছ থেকে এই দুধ সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই দুধ প্রক্রিয়াকরণ করে গুঁড়ো দুধে রূপান্তরিত করে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। সেই দুধের রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছেন তারা। তাছাড়া মাতৃদুগ্ধ কোথায় কোথায় ব্যবহার করা যাবে তার স্পষ্ট গাইডলাইন দিয়েছে এফএসএসআই।
তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নবজাতক শিশু ছাড়া আর কোনওভাবেই এই মাতৃদুগ্ধ ব্যবহার করা যাবে না। বিশেষ করে এই দুধ চোরাই পথে যারা কিনে ব্যবসা শুরু করেছে, অবিলম্বে সেই ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। না হলে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। তাছাড়া অনেকেই অভিযোগ করছেন, মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মাতৃদুধ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
যার ফলে এগুলি বন্ধ করতে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে অ্যাডভাইসরি জারি করেছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্স অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। লাইসেন্স বাতিল হয়েছে বেঙ্গালুরু ভিত্তিক ব্রিটিশ সংস্থা নিওলাক্টার।
Discussion about this post