পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার হল মা, সন্তান যেমন মাকে ছাড়া বাঁচতে পারেন, তেমনই মাও সন্তান ছাড়া বাঁচতে পারে না । পৃথিবীর সমস্ত সুন্দর অভিজ্ঞতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মাতৃত্ব। তাই বিবাহিত মহিলারা মা হওয়ার জন্য কত কিনা করেন। মা হওয়ার আগে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা একান্ত প্রয়োজন। দিনে দিনে বন্ধ্যাত্বের পরিমাণ বেড়েই চলছে। সেক্ষেত্রে আমাদের শরীর সমন্ধে অনেক বেশি সচেতন হওয়া জরুরি। অনিয়মিত খাদ্য গ্রহণ, অস্বাভাবিক জীবনযাপন, মাসিকের সমস্যা, সুষম আহার না করা, নিয়মিত শরীরচর্চা না করা ইত্যাদি ছেলে মেয়ে উভয়ের বন্ধ্যাত্বকে সুনিশ্চিত করতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে পিসিওডির সমস্যা এবং অতিরিক্ত মেদ জমে যাওয়ার কারণে কনসিভ করতে সমস্যা হয়। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা , বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ও স্বাভাবিক জীবন যাপনের, বিশেষ করে বেশ কিছু যোগাসনের অভ্যাস আপনাকে বন্ধ্যাত্ব থেকে রেহাই দিতে পারে।
মার্জার আসন
এই আসনে উট বা বিড়ালের মতন করে দুই হাঁটু মুরিয়ে মেঝের দিকে ঝুঁকে থাকতে হবে। এটি গর্ভধারণের আগে বা পরে করা যেতে পারে। গর্ভধারণের আগে করলে এটি কনসিভ করতে বিশেষ সহায়তা করবে। অন্যদিকে গর্ভাবস্থায় এই যোগাসন মা এবং সন্তান উভয়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এই যোগাসনে একবার পিঠ উপরদিকে এবং একবার নিচের দিকে প্রসারিত করতে হয়।
ভদ্রাসন
এই আসনে মূলত পায়ের পেশিতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। বাবু হয়ে মেরুদন্ড উচুঁ করে বসুন, তারপর হাঁটু বা গোড়ালির উপর হাত রাখুন। গর্ভাবস্থার আগে এই আসনটি মা হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকরী। তাছাড়া গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রেও এই যোগাসন খুব উপকারী ফল দেয়।
ত্রিকোণাসন
দুই পায়ের মাঝে দূরত্ব রাখুন, তারপর ভালো ভাবে দাড়িয়ে যান। নিচের দিকে ঝুঁকে ডান হাত দিয়ে ডান পা ধরুন। অন্য হাতটি মাথার উপর রেখে সেই হাতের দিকে দৃষ্টিপাত করুন। এই আসনটি গর্ভাবস্থায় ও গর্ভধারণের আগে বিশেষ স্বাস্থ্যকর যোগাসন।
সেতু বন্ধাসন
পেলভিক স্থানের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এই আসনটি খুবই কার্যকরী। হাত পা ছেড়ে মেঝেতে সোজা শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করে গোড়ালি পশ্চাদ দেশের কাছে নিয়ে আসুন। তারপর কোমর ও পশ্চাদ অঞ্চলকে শূন্যে তুলুন। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত এই আসন মা ও সন্তান উভয়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে । তাছাড়া গর্ভ ধারণের আগে মা হওয়ার প্রবণতা বাড়ায়।
তাছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন। যেটার উপযুক্ত পন্থা হলো সকালে সূর্যের আলোকে গায়ে মাখা। সকালে অন্তত কমপক্ষে ৩০ মিনিট সূর্যের আলোয় বসুন। তাতে ভিটামিন ডি ও ইমিউনিটি দুটোই গ্রহণ করতে পারবেন। ফলে কোনও রোগ শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারবে না। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকায় প্রেগন্যান্সির জার্নিও হবে স্মুদ। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
Discussion about this post