দুমাস আইপিএল মাতালেন। প্রতিটি চার, ছক্কা বা উইকেট পতনের সাথে সাথে আবেদনময়ী চিয়ার লিডাররা উদ্দাম নৃত্যের মাধ্যমে স্টেডিয়াম মাতিয়ে রেখেছিলেন। ইউরোপ থেকে এইসব চিয়ার লিডারদের ভাড়া করে আনা হয়। প্রশ্ন জাগতে পারে কেমন খরচ করতে হয় তাদের পেছনে ?চলুন দেখে নিই আইপিএলের চিয়ার লিডাররা কোন দলে কত টাকা পেয়েছেন? চিয়ার লিডাররা অনেকের কাছেই চিয়ার গার্ল নামেও পরিচিত। চিয়ার গার্লরা সাধারণত প্রতি ম্যাচ অনুযায়ী পারিশ্রমিক পান, তবে দল জিতলে বাড়তি বোনাস থাকে। ২০২৪ সালে প্রায় ৫০ জন চিয়ার লিডার আইপিএলে বিভিন্ন দলের হয়ে সমর্থন যুগিয়েছে। এই চিয়ার গার্লদের পিছনে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করেন শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স দল।
প্রতিটি চিয়ার গার্লকে ম্যাচ কিছু নাইট রাইডার্স দেয় ৩০,০০০ টাকার বেশি। এবার যেহেতু কলকাতা নাইট রাইডার্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাই তাদের বোনাসের পরিমাণ অনেক বেশি হবে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং আবেদনময়ী চিয়ার গার্লদের দেখা যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলে। প্রতিটি চিয়ার গার্লকে ম্যাচ পিছু ছাব্বিশ হাজার টাকা দেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বিরাট কোহলির দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু খুব একটা পিছিয়ে নেই। তারা ম্যাচ-পিছু প্রতিটি চিয়ার গার্লকে ২৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেয়। তবে ব্যাঙ্গালোর চিয়ার লিডাররা জয়ী ম্যাচে অতিরিক্ত বোনাস পান । রাজস্থান রয়্যালস প্রতিটি চিয়ার গার্লে পিছনে ম্যাচ পিছু কুড়ি হাজার টাকা খরচ করে। মহেন্দ্র সিং ধোনির দল চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ পিছু পনেরো হাজার টাকা খরচ করে চিয়ার গার্লদের পিছনে। চেন্নাই এর মতো পাঞ্জাব ও দিল্লি চিয়ার গার্লদের ম্যাচ পিছু পনেরো হাজার টাকা করে দেয়। লখনৌ সুপার জয়েন্টস ম্যাচ পিছু পনেরো হাজার টাকা করে দেয় চিয়ার গার্লদের । আইপিএলে চিয়ার লিডারদের মূল কাজ পারিশ্রমকের বিনিময়ে বিনোদন যোগানো। কিন্তু এই চিয়ার লিডার ইস্যুতে আইপিএলের এই সোনালী ক্যানভাসে একবার কালো আঁচর পড়েছিল।
আইপিএলের চতুর্থ মরসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গ্যার্বিয়ালা পাস্কুয়াল্তু নামে এক চিয়ার লিডার এসেছিল । তিনি কিছু ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের গুরুতর অভিযোগ আনেন। ম্যাচ শেষে পার্টিতে তার সঙ্গে ক্রিকেটারদের কিছু আপত্তিজনক ব্যবহারের কথা তিনি জানান। পরে তাকে আইপিএল থেকে বহিষ্কার করে ব্যাপারটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে ধামাচাপার চেষ্টা সফল হয়নি বিতর্ক যেন বাতাসে বেগে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই থেকে আইপিএলে চিয়ার লিডারদের নিরাপত্তার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এছাড়া পারিশ্রমিক কম দেওয়া চিয়ার লিডারদের বাজে প্রস্তাব দেওয়ার মত অপ্রত্যাশিত ঘটনাও ঘটেছিল। আধুনিক যুগ এসে চিয়ার গার্ল ভাড়া করে নাচানোর ব্যাপারটা অনেকে নেতিবাচক হিসেবে দেখেন। এমনকি আইপিএলে পারফর্ম করতে এলে অনেকেরই লক্ষ্য থাকে বলিউড। চিয়ার লিডাররা অনেকেই বলিউডে ঢুকে যেতে চান । অনেকেই বলিউডে ব্যাক আপ ডান্সার হিসেবে সুযোগও পেয়েছেন। শুধু টাকা বা বলিউডের জন্যই রাশিয়া ইউক্রেন রোমানিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে তাঁরা আসেন না। তাদের সংস্কৃত অংশ বলে মনে করেন। তাইতো তাদের সংস্কৃতির অংশ বলে মনে করেন এবং সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতেই ভারতবর্ষে আসেন।
Discussion about this post