কথায় আছে, দাম্পত্য কলহ জীবনেরই অঙ্গ। প্রত্যেকটা সম্পর্কে ঝামেলা, অশান্তি, কথা কাটাকাটি, মনোমালিন্য থাকে। তবে একসময় সেই তিক্ততা কেটে সূর্যের আলো দেখতে পাওয়া যায়। দাম্পত্য কলহের পরে বেশ কয়েকটি কারণ সম্পর্কে তিক্ততা বাড়াতে পারে। তাই দাম্পত্য কলহের পর এই গুলি করবে না, এর ফলে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
নীরবতার দেওয়াল তুলে রাখা
আপনার দাম্পত্য সঙ্গীর সাথে ঝগড়ার পর আপনার মন মেজাজ খুব খারাপ, মনে মনে ফুঁসছেন। এরকম সময় আমরা কার্যত কথা বলা একদম বন্ধ করে দেই। স্বভাবতই আমরা ভাবিযে আবার কথা বললে ঝগড়ার সৃষ্টি হবে। ঝগড়ার পর আপনার সঙ্গী হয়তো কথা বলছে সেই সময় আপনি অভিমানের রেশ এতটাই টেনে রেখেছেন যে বার বর্বটার ডেকে সারা দিচ্ছেন না। নিরবতার দেওয়াল পুরোপুরি নিজের দিক থেকে তুলে রেখেছেন এরকম করবেন না এতে সম্পর্কে তিক্ততা আরো বৃদ্ধি পায়।
কিছু হয়নি এমন আচরন করা
ঝগড়া বা মনোমালিন্যের পর যদি আপনি একদম স্বাভাবিক থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। ধরুন আপনার দাম্পত্য সঙ্গীর সাথে মনোমালিন্য, কথা কাটাকাটি হল কিন্তু আপনি একদম ঝগড়ার আগের মুহূর্তে যেমন স্বাভাবিক ছিলেন তেমনি আছেন। যেমন কাজে যান, অন্য কিছু দৈনন্দিন কাজকর্ম করেন তেমনি করছেন। সেই মনোমালিন্যটাকে একদমই পাত্তাই দিচ্ছেন না তাহলে সেক্ষেত্রেও একটা নেতিবাচক দিক পড়তে পারে সম্পর্কে। তাই খুব বেশি এড়িয়ে চলা, বিশেষ করে নিজের দোষটাকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।
ক্ষমা করে না দেওয়া
অনেক সময় দেখা যায় সঙ্গী যদি ক্ষমাও চান তাহলেও আপনি নিজের মনের মধ্যে একটি চাপ রাগ বা ক্ষোভ জমিয়ে রেখেছেন যা কিন্তু আসতে আস্তে মারাত্মক আকার ধারণ করে। সেক্ষেত্রে নিজেকে দীর্ঘ কষ্টতে না রেখে সঙ্গীকে ভালোবাসার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এইমর ফলে দাম্পত্য কলহর অবসান ঘটবে।
উচ্চস্বরে কথা চালিয়ে যাওয়া
অনেক সময় দেখা যায় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হতে হতে একজন থেমে গেছে কিন্তু অপর জন তখনও উচ্চস্বরে ঝাঁঝালো কথা চালিয়ে যেতে থাকেন। এমনটা করবে না। এমন অভ্যাস দাম্পত্য জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সঙ্গী যখন নিজের থেকে চুপ হয়ে গেছে আপনিও আসতে আস্তে চুপ হয়ে যান। নিজের স্বরকে সংযত করে ফেলুন।
রেগে চলে যাওয়া
অনেকে ঝগড়া করতে করতে রেগে চলে যান। সঙ্গীর প্রতি অভিমান করে তার থেকে দূরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এটি দাম্পত্যের মারাত্মক ক্ষতি করে, কোনো ক্ষোভ কম থাকলে তা আপনার দাম্পত্য সঙ্গীর সাথে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
ভবিষ্যতে ঘটে যাওয়া কলহকে টেনে আনা
ভবিষ্যতেও এরকম ঝামেলা হয়েছিল এই বিষয়টি টেনে অন উচিত নয়। অনেকেই ঝগড়ার মধ্যে এরকম বিষয় টেনে এনে আরো ঝামেলার সৃষ্টি করে এর ফলে নেতিবাচক দৃষ্টি আরো বৃদ্ধি পায়।
সমস্যা মেটাতে অতিরিক্ত সময় নেওয়া
সমস্যা মেটাতে খুব বেশি সময় নেবেন না। ঝগড়া বা মনোমালিন্যের পর কিছুটা স্পেস দরকার হয়। তবে সেই স্পেস জেনি খুব বেশি না হয়। উত্তেজনা প্রশমনের মুখ বিষয়টি নির্বাচন করে তা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করুন।
Discussion about this post