রেমাল পর্বের পর আদ্রতাজনিত গরম নাজেহাল করছে রাজ্যবাসীকে। জানা যাচ্ছে রেমাল এর ছেড়ে যাওয়া জলীয়বাষ্প বাতাসে অত্যাধিক পরিমানে থেকে যাওয়ায় এই ঘর্মাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে এই জলীয় বাষ্পের জেরে দক্ষিণবঙ্গ সহ কলকাতায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস ও রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতায় মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সঙ্গে ৩০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাসও বইতে পারে। এরই সঙ্গে দক্ষিনে দু এক পশলা বৃষ্টিরও দেখা মিলবে আজ।
তবে এরপরই ঝড়ের পরবর্তী আবহাওয়া কেমন হয় সেটা নিয়ে অনেককেই কৌতূহল প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। সকলের একটাই প্রশ্ন কবে থেকে সম্পূর্ণ রূপে বর্ষা প্রবেশ করছে রাজ্যে? আজ নতুন করে পশ্চিমে ঝঞ্ঝা ঢুকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানে দুটি ঘূর্ণাবর্তও রয়েছে। একটি অক্ষরেখা রয়েছে রাজস্থান থেকে ছত্তীসগঢ় পর্যন্ত এবং যেটি মধ্যপ্রদেশের উপর দিয়ে গিয়েছে।
এছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঘূর্ণিঝড় রেমালের টানে আরও বেশ কিছুটা পথ এগিয়ে এসেছে। মালদ্বীপ এবং দক্ষিণ আরব সাগরের বেশিরভাগ অংশেই আজ পৌঁছে যাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। লাক্ষাদ্বীপ দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্য-বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে আগামীকাল পৌঁছে যাবে এই মৌসুমি বায়ু জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা । আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য এবং মূল ভুখন্ড কেরলে পৌঁছে যাবে ‘বর্ষা’ । পরিস্থিতি ঠিক স্বাভাবিক থাকলে আগামী ১০ জুন নির্ধারিত দিনেই দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে চলেছে বর্ষা ‘ ঋতু ‘।
Discussion about this post