ভালোবাসা সত্যি অসহায়। মন যে কখন কার কাছে বাঁধা পড়ে, তা বোঝা দায়। ভালোবাসা বোঝে না গরীব, বড়লোকের ভেদাভেদ। মানে না কোনও জাতের বিচারও। কিন্তু কখনও কখনও সম্পর্কের মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ধর্ম বৈষম্য। ঠিক তেমনই ধর্ম বৈষম্যের ভালোবাসা ও বিয়ে নিয়ে আদালতে দ্বারস্থ হতে দেখা গেল এক যুগলকে। পাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের ও পাত্রী হিন্দু সম্প্রদায়ের। একে অপরকে ভালোবাসে বিয়ে কারার সিদ্ধান্তও নেয় তাঁরা। কিন্তু তাঁদের ভালোবাসার মাঝে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ধর্ম। বিয়ে পর তাঁরা তাঁদের ধর্মকে আলাদা করতেও রাজি নয়। তাঁদের ভালোবাসা ও বিশ্বাসকে সম্মান জানিয়ে আইনি মতে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন যুগল। তবে ভিন্ন ধর্মের ছেলেকে বিয়ে, মেনে নিয়ে চায়নি মেয়ের পরিবারের সদস্যরা। হাজারও বাঁধা কাটিয়ে ১৯৫৪ সালের স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে আবশেষে আদালতে দ্বারস্থ হয় ওই যুগল। ধর্ম পরিবর্তন না করেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায় তাঁরা। এবং যখন তাঁরা রেজিস্টার অফিসারের কাছে যাবেন তখন যেন পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হিন্দু তরুনী ও মুসলিম যুবককের বিয়ের আবেদন বাতিল করে আদালত। একই সঙ্গে পুলিশি নিরাপত্তায় হওয়া আইনি বিয়ের আবেদনও খারিচ করে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি গুরপাল সিংহ আলুওয়ালিয়া।
এই প্রসঙ্গে আদালত সাফ জানিয়েছে, হিন্দু মহিলা এবং মুসলমান যুবকের মধ্যে বিবাহ আদৌ বৈধ নয়। ইসলামিক আইনে এই ধরনের বিবাহকে বৈধতা দেওয়া হয়নি। যুগলের বিয়ে নিয়ে মেয়ের পরিবারের তরফে বিরোধীতা করে জানিয়ে ছিল, যদি এই বিয়ে হয় তাহলে সমাজ একঘরে করে দেবে তাঁদের। পাশাপাশি মেয়েটি বাড়ি থেকে গয়না নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ যুবতীর পরিবারের। তবে এ বিষয়ে যুগলের আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘বিশেষ বিবাহ আইন মেনে বিয়ে হচ্ছে, তাই এক্ষেত্রে ইসলামিক আইন কোনওভাবেই লাগু হবে না’। এরপর বিচারপতি আরও বলেন, ‘বিশেষ বিবাহ আইনে আইনসিদ্ধ হতে পারে না। যদি না সেটা ব্যক্তিগত আইনে নিষিদ্ধ বলা হয়ে থাকে’।।
Discussion about this post