সুস্থ স্বাভাবিক শরীরের জন্য ভিটামিনের গুরুত্ব অপরিসীম। তেমনি প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, শর্করা, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি দরকার, কিন্তু সেটা সঠিক পরিমাণে। খুব বেশিও নয় খুব কমও নয়। কম উপাদান যেমন আমাদের বিভিন্ন রকম শারিরীক সমস্যা তৈরি করে। তেমনি এগুলোর অধিক্যও আমাদের শরীরকে ক্ষতি করে।তাই যতটা সম্ভব খাবার দাবারের মাধ্যমে আমাদের এইসব ঘাটতি মেটানো দরকার। চিকিৎসকের পরামর্শ মতন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করলেও সেটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যবহার করুন। কারণ কোনো কিছু ঘাটতি ও আধিক্য দুটোই আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।
ক্যালশিয়াম
অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্ট হাইপার ক্যালশিমিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যান্য ট্যাবলেট এবং সাপ্লিমেন্টের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্টের সঙ্গে কেউ যদি নিয়মিত হার্টের অসুখের ট্যাবলেট বা আয়রন ট্যাবলেট খেতে শুরু করেন, তাহলে হৃদ্রোগের সম্ভাবনা বাড়ে। এ ক্ষেত্রে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা যায়। কিডনিতে পাথর দেখা দিলে অবশ্যই ক্যালসিয়াম এবং ক্ষেত্র বিশেষে প্যারাথাইরয়েড হরমোনের মাত্রা জানা জরুরি। রক্তে ক্যালসিয়াম বেড়ে যাওয়ার কারণে তীব্র জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এমনকি এটি একটি জরুরি স্বাস্থ্য সংকট তৈরি করতে পারে।রক্তে ক্যালসিয়াম বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া কিডনিতে ক্যালসিয়াম ফসফেট জমে যায়। এতে কিডনির কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
আয়রন
আয়রনের ঘাটতি আমরা শাকসবজির মাধ্যমে মেটাতে পারি। বিভিন্ন শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। বলা যায় প্রাণ রক্ষাতে আয়রনের বিশেষ ভূমিকা। আমাদের প্রাণ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যে অক্সিজেন সেই অক্সিজেনকে শরীরের কোষে কষে পৌঁছে দেয় আয়রন। আয়রন সাপ্লিমেন্ট খেলে আমাদের শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
আমাদের শরীরের কোষে রক্ত ঠিকঠাকমতো পৌঁছতে না পারায় কোষ নষ্ট হয়। অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নষ্ট হয়। খুব বেশি দিন ধরে নিয়মিত আয়রন সাপ্লিমেন্ট খেলে আমাদের হার্ট ও লিভারের সমস্যা দেখা দেয় । তাই সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ না করে নিয়মিত খাবারের মাধ্যমে শরীরের আয়রনের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করুন। বিশেষ করে বাদাম, কলা, আপেল, মুরগির মাংস, ড্রাই ফ্রুট, পালং শাক, মটরশুঁটি, ছোলা বেশি করে খান। শরীরে আয়রনের ঘাটতি ঘটলে ডাক্তারের পরামর্শ মতন ডায়েট গ্রহণ করুন।
ভিটামিন ই
ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমরা ত্বক ও চুলের জন্য ব্যবহার করে থাকি। অনেকে এই ক্যাপসুল খেয়েও থাকেন। ভিটামিন ই তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই অনেক সময় ডাক্তার ও এই ক্যাপসুল খেতে বলেন । তবে চিকিৎসকরা এটাও বলেছেন যে, ভিটামিন ই ক্যাপসুল সবার জন্য নয়। দীর্ঘদিন ধরে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে হঠাৎ করেই স্ট্রোক হতে পারে। শরীরের মধ্যে রক্তক্ষরণ হতে পারে। ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে।
বিটা ক্যারোটিন
বাঁধাকপি, ফুলকপি, বিট, গাজরের মতন রঙিন সবজিতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকে। বিটা ক্যারোটিন আমাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি ও শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য বিশেষ উপকারী। তাছাড়া আমাদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে শরীরের ইমিউন পাওয়ারকে বৃদ্ধি করতে এবং পেশীকে মজবুত করতে বিটা ক্যারোটিনের বিশেষ ভূমিকা থাকে। তাই খাবারের সাথে সাথে অনেকে বিটা ক্যারোটিন সাপ্লিমেন্ট ও নেন। কিন্তু নিয়মিত এই সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিত নয়। নিয়মিত বিটা ক্যারোটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ ফুসফুসের ক্যান্সার বাড়ায়, তাছাড়া আরো অন্যান্য শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি করে।
কাভা
কাভা হল মানসিক রোগের চিকিৎসায় একটি অন্যতম ভেষজ সাপ্লিমেন্ট। তবে বেশি মাত্রায় গ্রহণ করলে লিভারের জটিল অসুখ, হার্টের অসুখ, ফ্যাটি লিভার, লিভার সিরোসিস, হেপাটাইটিস ইত্যাদি হতে পরে। তাই মানুষিক দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা ও মানসিক চাপ কমাতে কোনো মন রোগ বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে নিয়মিত ডায়েট ও মেডিটেশনের মাধ্যমে সুস্থ হন।
গত জুন-জুলাই মাসে যখন বাংলাদেশে কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দলোন চলছে, গোটা বাংলাদেশ যখন হিংসার আগুনে জ্বলছে। তখন থেকেই ভারত বাংলাদেশী...
Read more
Discussion about this post