ব্যস্ততা ভরা জীবনে আমরা সর্বদাই এদিক ওদিক ছুটে বেড়াই। ফলে নিজেকে খুব কম সময় দিতে পারি। আর এর ফলে বেশিরভাগ মানুষ নিজের প্রতি নিজে থিয়ে যাচ্ছে। চিৎকার, চেঁচামেচি, রাগারাগির মতন ঘটনা ঘটছে সচারাচর। এমন কিছু লক্ষণ আছে যেগুলি দেখলে আমরা বুঝতে পারি আমরা নিজেদের প্রতি নিজেরাই টক্সিক হয়ে উঠছি। এইসব লক্ষণের যদি কোনো একটি আপনার সাথে মিল খায় তাহলে আজকেই সচেতন হন।
নিখুঁত হতে চাওয়া
কোনো মানুষই নিখুঁত হতে পারেনা। তাই সব সময় নিজেকে জাজ করা। যদি সমস্যা হয় তাহলে নিজেকে দোষী ভাবা। কোনো ভুল করলে নিজেকে ক্ষমা না করা। বার বার কোনো কিছুর জন্য নিজেকে দোষ দেওয়া।
নিজের ক্ষতি করা
মানুষ নানা ভাবে নিজের ক্ষতি করেন অনেকে অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করে নিজের ক্ষতি করে। কেউ কেউ অতিরিক্ত ধূমপান করে দিনের পর দিন নিজের ক্ষতি করতে থাকে।
নিজের প্রতি যত্নবান না হওয়া
নিজের প্রতি যত্নবান হওয়া প্রত্যেকটা মানুষের প্রয়োজন। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে যারা খুবই ব্যস্ত। নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া তাদের সম্ভব হয়না। অন্যের খেয়াল রাখতে রাখতে নিজের প্রতি যত্নহীন হয় পরে। এক্ষেত্রে আসতে আস্তে নিজের প্রতি যত্নবান হওয়া দরকার। স্বাস্থ্যকর খাবার, শরীরচর্চা এবং সঠিক সময়ের বিশ্রামের মাধ্যমে আপনি নিজের প্রতি যত্নশীল হতে পারেন।
ব্যক্তিগত সীমারেখা নিশ্চিত করতে না পারা
অনেকে আছেন যারা ব্যক্তিগত সিমারারেখায় রাশ টানতে পারেনা। অন্যের সঙ্গে মন খুলে মিসলেও নিজের প্রতি টক্সিক থেকে যান। এর ফলে তারা নিজেদের ব্যক্তিগত সীমারেখা নিশ্চিত করতে পারেন না।
ব্যর্থতার ভয়
জীবনের চরাই উৎরাই থাকেই, সব কাজে যে জীবনে সফল হতে হবে তার কোনো মানে নেই। সব পরিস্থিতিকে শেষ পর্যন্ত মেনে নিতেই হয়। ব্যর্থতাকে ভয় না পেয়ে, ব্যর্থতার মোকাবিলা করাই জীবনের লক্ষ্য।
নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া
অনেকেই আছেন যারা নিজেকে গুটিয়ে রাখতে ভালোবাসেন। সে আত্মীয়-স্বজন হোক, কিংবা পরিবারের লোকজন। নিজেকে সব কিছু থেকে গুটিয়ে নেওয়া , নিজেকে আরও বেশি করে ট করে তোলে। এমন অবস্থা আমাদেরকে মানসিক ভাবে আরো দুর্বল করে তোলে।
নিজের সঙ্গে নেতিবাচক কথোপকথন
আপনি যদি সারাক্ষণ নেতিবাচক দিক নিয়ে নিজের সঙ্গে কথা বলেন তাহলে তা আপনার জীবনে একটা খারাপ প্রভাব ফেলে। এর ফলে আমরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ি ও আরো টক্সিক হয়ে উঠি। নিজেকে দোষারোপ করা, নিজের প্রতি খারাপ মনোভাব পোষণ করা, নিজেকে বিচার করা এগুলি অনেক সময় আমাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
Discussion about this post