২০২৪ -এ আবার বাংলায় খাতা খোলার সম্ভবনা রইলনা বামেদের। আবারও পশ্চিমবঙ্গে শূন্য হল বামদূর্গ। যদিও এদিন সমজমাধ্যমে একটি ছবি তিনি শেয়ার করেছেন, যেখানে কাস্তে , হাতুড়ি ও তারা প্রতীকের পাশে স্পষ্ট ভাবে লেখা, ‘ এ হৃদয় দফতর পাল্টাচ্ছে না’। শ্রীলেখা মিত্র চিরকালই বাম মানসিকতার। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে সায়নী ঘোষ এগিয়ে আছেন যার প্রতিদ্বন্দ্বি হিসাবে সিপিএমএর হয়ে দাঁড়িয়েছিল সৃজন ভট্টাচার্য। কিন্তু তিনি সায়নী ঘোষের কাছে অনেকটা ভোটে পিছিয়ে আছেন তিনি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে উষ্মা প্রকাশ করলেন শ্রীলেখা মিত্র। সাংবাদিকদের সামনে হতাশা প্রকাশ করলেন তিনি। শ্রীলেখার গলায় আক্ষেপের সুর তিনি বললেন, শিক্ষিত মানুষ দিপসিতা ধরকে চাইছেন না! এটা মেনে নিতে সত্যিই কষ্ট হচ্ছে। শ্রীলেখা মিত্রর গলায় আক্ষেপের সুর, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে সায়নী ঘোষের মতন ক্যান্ডিডেট কিভাবে ১ লক্ষের বেশি ভোটে এগিয়ে থাকে!
তবে হতাশ হলেও তিনি একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিলেন না। কারণ এই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০১৯ সালে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে দাড়িয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা। বরাবরই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তারকা প্রার্থীদের জয়জয়কার দেখা গেছে। এবারও তার অন্যথা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ যাদবপুরে যেমন সায়নী ঘোষ এগিয়ে আছেন তেমনি হুগলিতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে আছেন।
শ্রীলেখা মিত্র আরও জানান, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক। তিনি বলেন, কাজের সুত্রে অন্য শহরে গেলে তার নিজের শহরের জন্য মন খারাপ হয়ে যায়। এই শহরে মহিলাদের কাজের সু-বন্দোবস্তের অভাব আছে। যার কারণ হিসাবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি খানিকটা দায়ী বলে মনে করেছেন তিনি। যদিও এদিন সমজমাধ্যমে একটি ছবি তিনি শেয়ার করেছেন, যেখানে কাস্তে , হাতুড়ি ও তারা প্রতীকের পাশে স্পষ্ট ভাবে লেখা, ‘ এ হৃদয় দফতর পাল্টাচ্ছে না।’
শ্রীলেখা মিত্র বরাবরই বাম মানসিকতা সম্পন্ন। তিনি মাঝে মধ্যেই রাজ্যের শাসকদলকে নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করে থাকেন। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশেও দেখা গেল তৃণমূলের তারকা প্রার্থীরা ভোটসংখ্যার নিরিখে এগিয়ে আছেন। যা নিয়ে বিস্মিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। বিশেষ করে, সায়নী ঘোষকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শিরোনামে দেখা গেছে। সেই সায়নী ঘোষ যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ১ লক্ষের বেশি ভোট জিতে যা নিয়ে কার্যত হতবাক শ্রীলেখা মিত্র। তার চোখে, এই বাংলার সব থেকে বড় প্রহসন রাজনীতি এবং নির্বাচন। সংস্কৃতিবান শিক্ষিত বাঙালির এমন দশা মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
Discussion about this post