রেমাল মূলত বিদায় নিয়েছে রাজ্যে। তবে তার ছেড়ে যাওয়া জলীয়বাষ্প রীতিমতো দক্ষিণবঙ্গ ও কলকাতা বাসীকে আদ্রতাজনিত অস্বস্তিতে ভুগিয়েছে। এরই মাঝে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে হঠাৎই বদলে গেলো আবহাওয়ার ছবি। রাতে আচমকা মেঘের গর্জন ঘুম কেড়ে ছিল অনেকেরই। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টি। অনেকেই কালবৈশাখীর আশঙ্কাও করে বসে ছিলেন।
এরপর দেখা গেল রাতভর চললো এই বৃষ্টি। সকালেও মেঘাচ্ছন্ন আকাশই ছিল সেই সঙ্গে দফায় দফায় বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টি দেখেই সকলের মনে প্রশ্ন একটাই , তবে কী আজই পাকাপাকি ভাবে কলকাতায় প্রবেশ করল ‘বর্ষা’?
ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার বর্ষারুপী বৃষ্টি শুরু হয়েছে বঙ্গে তাই সকলেরই কৌতূহল তুঙ্গে পৌঁছে গিয়েছিলো। তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এই বৃষ্টি বর্ষার বৃষ্টি নয়।
মূলত রেমালের ছেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক পরিমাণ এর জলীয় বাষ্পের সঙ্গে অগ্রসর হতে থাকা মৌসুমী বায়ুর সংমিশ্রণ এই বৃষ্টি। এই বৃষ্টি আরও ব্যাপকতা বাড়বে ১লা এবং ৪ ঠা জুন পর্যন্ত বহাল তা থাকবে। তবে অবিরাম বৃষ্টি নয়, বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে দফায় দফায় বৃষ্টি হবে। বৃষ্টিপাতের সময় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। এর জেরে আগামীকাল ১লা জুন শেষ দফার লোকসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ এবং ৪ঠা জুন ফল প্রকাশ পর্বে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে পূর্বাভাস।
মৌসম ভবন জানাচ্ছে এবার দেশে ঢুকল বর্ষা। নির্ধারিত সময়ের ২দিন আগেই বৃস্পতিবার সকালে কেরলে ঢুকলো বর্ষা। একই সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে সপ্তাহ খানেক আগেই ঢুকে পড়লো বর্ষা। ভারতের মৌসম ভবনের পূর্বাভাস,আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করবে বর্ষা। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তা দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বর্ষা মঙ্গল । নির্ধারিত সময় ১০ জুনের ৭২ ঘন্টা আগে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের প্রবল সম্ভাবনা হাওয়া অফিসের তরফে ।
Discussion about this post