ছাদের উপর স্নাইপার মাঠে চারপাশে সোয়াট ইউনিটের ঘোরাফেরা। ড্রপ ইন পিচ পাহারা দেওয়ার জন্য বিশেষ পুলিশ অফিসার নিয়োগ। এটা যদি ছবির একটা অংশ হয় তাহলে অন্যটাও ব্যতিক্রমী। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হয়ে গিয়েছে, অথচ সেরকম উন্মাদনা নেই ।ভারতীয় দল প্র্যাকটিস করছে একটা জনসাধারণের জন্য খোলা পার্কে। অথচ ক্রিকেটপ্রেমীদের ভিড় নেই। এরকম একটা পরিবেশে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে বুধবার তাদের প্রথম ম্যাচটা খেলতে নামছেন রোহিত শর্মারা। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড । যারা কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে অতীতে বেশ কয়েকটা অঘটন ঘটানোর ইতিহাস বহন করে। অ্যাডিলেড থেকে বিশ্বখ্যাত পিচ কিউরেটর কে এনে তৈরি করা হয়েছে নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ড্রপ ইন পিচ। সকালে বল সুইং করছে, তারপরে ডাবল পেসড। স্পিনাররাও বাউন্স পাচ্ছেন। বল থমকে আসছে । সাধে কি আর রাহুল দ্রাবিড় বলেছেন “টু এডাপ্ট”।
সেটাই সবচেয়ে জরুরী । হতেই পারে এটা ১৪০ রানের উইকেট তা।হলে সেভাবে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে। একই সুর মঙ্গলবার রোহিতের গলাতেও। মেনে নিচ্ছেন চার ছক্কার উইকেট এটা নয়। বুঝতে হবে এখানে আইপিএলের মত স্কোর হবে না। পরিস্থিতি বুঝে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার সবচেয়ে জরুরী। সোমবারে প্র্যাকটিস অন্তত একটা বলছে, বড় মঞ্চে পরীক্ষা নেওয়ার আগে প্রস্তুতিতে ফাঁক রাখছেন না। টানা ৪০ মিনিট ব্যাটিং ।ধরেই নেওয়া যায়, শেষ মুহূর্তে বদল না হলে রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে পারেন বিরাট, সেই সম্ভাবনা প্রবল। আয়ারল্যান্ডকে প্রতিপক্ষ হিসেবে ম্যাড়ম্যাড়ে মনে করার কোন কারণ নেই । বালবার্নি, জসূয়া লিটিল , পল স্টার্লিং রা নিয়মিত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেন। তাছাড়া এই ফরম্যাটে যেকোনও সময় একটা ওভারে ম্যাচ বদলে যেতে পারে। সেটা মাথায় রেখেই টিমগুলো স্ট্রাটেজি তৈরি করছে।
দুই পেসার হিসেবে বুমরা আর আর্শদীপ খেলবেনই। এবার তিন নম্বর পেসার হিসেবে সিরাজ থাকতে পারেন আবার হার্দিক বা দুবেকে দিয়ে কাজ চালানো হতে পারে । চারস্পিনার আছে। টিমে জাদেজা এবং কুলদীপ থাকবেন । এবার তৃতীয় স্পিনার হতে পারে চাহাল বা অক্ষর। ৯ইজুন পাকিস্তান ম্যাচ এর আগে এটা নিজেদের মেপে নেওয়ার শেষ ম্যাচ ।এই ম্যাচে যে টিম খেলবে বড় অঘটন না হলে সেই টিম ৯ জুন এর মহারণে নামবে ।এমনিতেই ম্যাচের আগের দিন বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতের প্র্যাকটিস অপশনাল। রোহিতকে অবশ্য প্রথামতো আসতে হলো প্রেসের সামনে। উইকেট যেমনই হোক আজ বুধবার প্রবাসী ভারতীয়রা ভরিয়ে দেবেন নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। নীলে নীল হয়ে উঠবে গ্যালারি। কাউন্টডাউন শুরু। শুধু মাঠে বলটা পড়তে হবে।
Discussion about this post