গর্ভকালীন নারীদের ডায়াবেটিসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মা ও শিশুর স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। গর্ভকালীন নারীর রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও সন্তান প্রসবের পর সেই শর্করার পরিমান স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। কিন্তু গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে গর্ভজাত সন্তানের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়।
যাদের এই ঝুঁকি থাকে-
পিসিওসির রোগ
যাদের দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস আছে
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস
শারীরিক শ্রম একেবারেই হারা করেন না
যাদের ওজন খুব বেশি
সন্তান ধারণের সময় ৩০ বছরের বেশি থাকে
ওজনাধিক্য গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের বড় ঝুঁকি। গর্ভাবস্থায় ওজন কমানোর সুযোগ নেই। তাই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে অনেক আগে থেকে। কৈশোরে, তারুণ্যে উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজন বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। তবেই ভবিষ্যতে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের হার কমানো সম্ভব।
গর্ভকালীনও ব্যায়াম করা সম্ভব। এটি গর্ভকালে অতিরিক্ত ওজন বা চর্বি জমতে বাধা দেয় এবং ফিট থাকতে সাহায্য করে। তবে নারীরা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি শুরু করেন দেরিতে, ডায়াবেটিস শনাক্ত হওয়ার পর, মানে ২৪-২৮ সপ্তাহের পর।
পিসিওএসের রোগী, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা মেটাবলিক সিনড্রোম প্রমাণিত হয়েছে—এমন রোগীর ক্ষেত্রে আগে থেকে মেটফরমিন সেবন করা হলে পরে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কিছুটা কমতে দেখা গেছে। কিন্তু এটা সবার বেলায় প্রযোজ্য নয়।
কম বয়স থেকেই মেয়েদের পুষ্টিকর, সুষম খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হতে হবে। গবেষণা প্রমাণ করেছে, গর্ভধারণের পর কোনো বিশেষ ডায়েট গর্ভকালীন ডায়াবেটিসকে প্রতিহত করতে পারে না; বরং খুব কম শর্করা বা লো কার্বোডায়েট বা রেস্ট্রিকটেড এনার্জি গর্ভস্থ সন্তানের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তার চেয়ে সন্তান নেওয়ার কয়েক মাস বা বছরখানেক আগে থেকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস সুফল দিতে পারে।
Discussion about this post