ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। এবার বর্ধমানে বিজেপির জেলা অফিসে হামলার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতেই , রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা রাজনৈতিক সংঘর্ষের ছবি সামনে আসছে। কোথাও আক্রান্ত হচ্ছে বিজেপি কোথাও বা সিপিএম। কোন কোন এলাকাতে আবার শাসকদলের উপর আক্রমণের খবর ও সামনে আসছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের আক্রমণের খবর সামনে আসছে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের জগদ্দলে। এখানকার বিজেপি পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো তৃনমূলের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য এই ওয়ার্ডের মোট ১২ টি বুথের নয়টি বুথেই জয়লাভ করেছে বিজেপি। ওয়ার্ডের সব কটি বুথ মিলিয়ে একশোরও বেশি ভোটে এই ওয়ার্ড থেকে জয়লাভ করেছে বিজেপি। তার জেরেই এই হামলা বলে অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সোনারপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে একই অভিযোগ উঠে এলো বর্ধমান থেকে। লাঠি, বাঁশ, লোহার রড নিয়ে বিজেপি জেলা অফিসে হামলার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। ছোড়া হয় ইটও। ঝামেলা অশান্তির খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিজেপির পার্টি অফিসের সামনে মোতায়েন করা হয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ ঘটনায়, বিজেপি নেতা সুমিত দত্ত বলেন, “তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের পার্টি অফিসের সামনে এসে হামলা করে। জেলা সভাপতির গাড়িতেও হামলা করা হয়।নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর জেলার বিভিন্ন জায়গার দলীয় কর্মী সমর্থকরা পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়েছে।”
অন্যদিকে বাদ পড়েনি সিপিএমও। সিপিএম এর বুথ এজেন্ট হবার আপরাধে দুর্গাপুরের মহুয়া বাগান এলাকায় ফিরোজার দোকান পুড়িয়ে দেবার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোটের দিন, ফিরোজার বাবা মহম্মদ আলী শেখ সিপিআইএমের পোলিং এজেন্ট ছিলেন। স্থানীয় বাম নেতা পংকজ রায় সরকার বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দিকে দিকে সন্ত্রাস করছে। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে টেলারিং এর দোকান করেছিলেন ফিরোজা। মোট চারটি মেশিন,ইন্টারলকিং মেশিন, প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকার ড্রেস মেটিরিয়াল ক্ষতি হয়।
Discussion about this post