বৃহস্পতিবার রাতে যুবভারতীর গ্যালারিতে অসংখ্য দর্শকের মুখে শুধুই হতাশা। কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন সুনীল ছেত্রী। এই কান্না শুধু তার অবসর নিয়ে ফেলার জন্য নয়। দেশকে প্রথম বারের জন্য প্রিয় ওয়ার্ল্ড কাপের তৃতীয় রাউন্ডে তুলে না দিয়ে যেতে পারার যন্ত্রণাও। কুয়েতকে এদিন হারালেই ভারতের সামনে খুলে যেত প্রি ওয়ার্ল্ড কাপের তৃতীয় রাউন্ডের খেলার দরজা । কিন্তু ম্যাচটা গোল শূন্য হবে শেষ হওয়ায় ভারতের সামনে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নটা প্রায় মুছে গেল। ১১ জুন খেলা গ্রুপে সবচেয়ে শক্তিশালী দল কাতারের বিরুদ্ধে ।
কাতারের মাঠে ভারত পয়েন্ট পেলেও অনেক’ যদি কিন্তু’ অংক থাকবে ভারতের পরের রাউন্ডে ওঠার। বৃহস্পতিবার রাতে কাতারকে গোলশূন্য ভাবে আটকে দিয়ে আফগানিস্তানের পয়েন্ট ও ভারতের মতোই পাঁচ ম্যাচে পাঁচ। তবে ভারত এখনো লিগ টেবিলে দুইয়ে রয়েছে। এটার ধরে রাখতে কাতারের বিরুদ্ধে পয়েন্ট চাই ভারতীয় দলের। কিন্তু এই ম্যাচে তো আর থাকবেন দেশের ৯৪ গোলের মালিক সুনীল। আর তাঁর বিকল্প খুঁজে পাওয়া গেল না বৃহস্পতিবার রাতে । ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ, সুনীলেরর উত্তরসূরী হিসাবে যাঁদের ভাবা সম্ভব তাঁদের সবাইকে মাঠে নামালেন । লিস্টন, মনবীর সাহল , ছাংতের সঙ্গে ব্রেন্ডন, রহিম, এডমুন্ডদর । কিন্তু এরা কেউই গোল করে সুনীলকে তাঁর ফেয়ারওয়েল ম্যাচে জয়টা উপহার দিতে পারলেন না । এতগুলো গোল করার লোক নামিয়েও গোল না হওয়ায় ম্যাচ এসেছে ডাগআউটের মাটিতে হতাশায় বসে পড়তে দেখা গেল ক্রোট কোচ স্টিমাচকে।
১১ জুন কাতারের বিরুদ্ধে অঘটন ঘটিয়ে পরের রাউন্ডে যেতে না পারলে তো স্টিমাচের ও চাকরি যাবে ব্যর্থতার তকমা নিয়েই। প্রথম অর্ধে সুনীলকে সামনে রেখে খেলা শুরু করেছিলেন ভারতীয় কোচ। কিন্তু ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি সুনীলকে নড়াচড়া সুযোগ দেয় নি কুয়েতের ছ ফুটের বেশি উচ্চতা ডিফেন্ডার রা ।দ্বিতীয় অর্ধে খানিকটা নেমে এসে মাঝমাঠের সংগঠন মজবুত করলেন। যাতে হারতে না হয়।সুনীলের পরবর্তী ক্যাপ্টেন গোলকিপার গুরপ্রীত বেশ কয়েকটা গোল বাঁচালেন। হাফ টাইমের পরে অ্যাটাকিং মোডে আনার চেষ্টা করেছিলেন। সাহালের বদলে নেমেই রহিম একা কিপার সুলিমানকে পেয়েও গোল করতে পারলেন না ।মনবীর, ব্র্যান্ডনরাও গোলের কাছে পৌঁছাতে পারলেন না।
ভারতের এই অবস্থার জন্য কাকে দায়ী করা উচিৎ হবে তা বলা মুশকিল। যদি বলা হয় ঘরোয়া ক্রিকেটে ভারতীয় সিনিয়র ক্রিকেটাররা...
Read more
Discussion about this post