বৈতরণী নদীর কথা কমবেশি আমরা সকলেই জানি। হিন্দু ধর্মে এই নদীকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। কথায় আছে বৈতরণী পার, কেন জানেন? কথিত আছে, গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী, গোদাবরী যেমন পবিত্র নদী, যেই জলে ধুয়ে যায়, সকল পাপ। ঠিক তেমনই এই ধরাধামে এমন এক নদী রয়েছে, মৃত্যুর পর যেটিকে পার করতেই হয় সকল আত্মাকে। নদী পার করার সময় যদি কোনও পাপী আত্মা নদী তীরবর্তী স্থানে চলে আসে ,তাহলেই সেই নদীর জল টগবক করে ফুটতে শুরু করে। এমনি বিশ্বাস অনেকের। কিন্তু কোথায় রয়েছে এমন নদী? কি বা তার নাম? যার নাম শুনলে ভয়ে হাড় হিম হয়ে যায়!
গরুর পুরাণে এই নদীর কথা বর্ণিত রয়েছে। নাম বৈতরণী নদী। কথিত আছে, এই নদী প্রবাহিত হয় যমলোক থেকে ৮৬ হাজার যোজন দূরে। তবে আশ্চর্যের অন্যান্য নদীর মতো এখানে নেই কোনও জল। রয়েছে কেবল রক্ত আর পুঁজের স্রোত। তাই যোমের দুয়ারে কখনওই সরাসরি যেতে পারে না কেউই। যমলোকে যাওয়ার রাস্তায় এই নদীকে পার করতেই হয় আত্মাকে। পৃথিবীতে যদি কেউ পাপ বা কোনও খারাপ কাজ করে থাকে, সেই আত্মা কখনওই এই নদী পার হতে পারে না। কথিত আছে, পাপী আত্মারা পার হতে গেলেই টগবক করে ফুটতে শুরু করে এই নদীতে থাকা রক্তের স্রোত। নদীর চারপাশে রয়েছে ভয়ঙ্কর পোকামাকড়, কুমির ও শকুনের দল। তবে সকলের জন্য এই নদী ভয়ঙ্কর নয়। যারা জীবদশায় থাকাকালীন, নিজেকে ঈশ্বরের সেবায় উৎসর্গ করে এবং দান-ধ্যান করে পুণ্য করে। সেই সকল জীবই একমাত্র এই নদী সহজেই পার হতে পারে। তাদের যমলোকে যাওয়ার পথে থাকে না কোনও বাধা। এমনকি নদীতে থাকা হিংস্র পশুরাও শান্ত থাকে।
Discussion about this post