আবার প্রকাশ্যে হাওড়া তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। এবার চতুর্থ বারের সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন শিবপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রাক্তন ফুটবলার-সাংসদ প্রসূনের উদ্দেশে ক্রিকেটার-মন্ত্রী মনোজের মন্তব্য, ‘‘আপনাকে যতটা সম্মান করতাম, আর হয়তো ততটা করতে পারব না।’’ হাওড়ায় তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব একাধিকবার সামনে এসেছে।
তবুও ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪২ ভোটে বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তীকে হারিয়ে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে ফের জয়ী হয়েছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিপুল এই জয়লাভ ও ধামাচাপা দিতে পারেনি দলের গোষ্ঠী কোন্দলকে। এবার সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, সাংসদ প্রসূন কে তিনি আগে যতটা সম্মান করতেন তা আর করতে পারবেন না। মনোজ জানিয়েছেন প্রার্থী ঘোষণা থেকে ফলাফল ঘোষণা, এই দীর্ঘ সময়টা তিনি সবসময় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন। তাঁর ওয়ার্ডে আগের বারের থেকেও বেশি লিড পেয়েছেন জয়ী প্রার্থী। কিন্তু মনোজের অভিযোগ এর পরও একবারের জন্যও মনোজকে ফোন করেননি প্রসূন।
ভিডিয়োবার্তায় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘জেতার পরে আপনি আমায় এক বার ফোন করে অভিনন্দন জানাননি। দেখা করেননি। অথচ শিবপুর কেন্দ্রে আপনাকে হারানোর জন্য দলের একাংশই আপনার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল। আপনি তাঁদের সঙ্গে দেখা করছেন। ফুলের মালা পরে ছবি তুলছেন। এটা জেনে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। দুঃখ পেয়েছি। সব চক্রান্ত ব্যর্থ করে এই কেন্দ্রে আপনাকে জয়ী করিয়েছি। মনোজ তিওয়ারিকে দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে ছোট করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন দলের অনেক নেতা-কর্মী। তাঁরা চাননি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও টিকিট পান। আমরা আপনাকে জিতিয়েছি।
আর আপনি আমাদের ভুলে গিয়ে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কাছ থেকে সংবর্ধনা নিচ্ছেন। তাই আপনাকে আর ততটা সম্মান করতে পারব না।’’ তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত প্রসূনের কোন প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি।মনোজের এই ভিডিওবার্তাকে কেন্দ্র করে শোরগোল শুরু হয়েছে হাওড়ার রাজনৈতিক মহলে। এমনিতেই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম এবারও প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর বিক্ষোভ দেখা গেছিল হাওড়ায়। আদি তৃণমূল কর্মীদের একাংশ তীব্র আপত্তি জানিয়ে ছিল। তারপরে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছিল বলে দলীয় সূত্রে খবর।
Discussion about this post