ভোট পরবর্তী হিংসা পরিদর্শনে সন্দেশখালিতে বিজেপির তথ্য অনুসন্ধানকারী দল। মঙ্গলবার বিকেলে সন্দেশখালি সড়বেড়িয়া এলাকায় আসেন কেন্দ্রের ৪ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল। এই দলের মধ্যে ছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, কেন্দ্রীয় প্রাক্তন আইন মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল সহ ও চারজন। এদিন তারা সড়বেড়িয়ার আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট বিট পোলের ৪২, ৪৫ নম্বর বুথের বামন ঘেরি এলাকায় গিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের বর্তমান অবস্থার কথা জানার চেষ্টা করেন। এবং তারা ওই সমস্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেন। তথ্য সংগ্রহ করা পাশাপাশি তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তুলোধনা করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়া ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব দেব। তিনি বলেন, “সরকারি মদতে এখানে গুন্ডামি চলছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই গুন্ডামিকে প্রশয় দিচ্ছেন। এর আগেও তিনি সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শেখ শাহজাহানের মতো গুন্ডাদের প্রোটেকশন দিয়ে এসেছেন । তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে মমতা বন্দোপাধ্যায় এই সমস্ত গুন্ডাদের উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। তাই, তিনি যে তাঁর দলের গুন্ডাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবেন না এটাই স্বাভাবিক। আমি তৃণমূলের গুন্ডাদের বলব, ভাই, সাবধান হয়ে যাও। নইলে কপালে দুঃখ আছে। ফের কোনও তফসিলি ভাই-বোনেদের উপর হামলা হলে রক্ষে নেই! কারওকে ছাড়া হবে না। সংবাদ মাধ্যমের সামনে এটা বলে গেলাম । ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে থাকতে হলে দেশের আইনকানুন, সংবিধান মেনে চলতে হবে।
তফসিলি জাতি-উপজাতিদের অধিকার, বঞ্চনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। যাঁরা এসব করতে পারবেন না, তাঁদের এদেশে থাকার কোনও অধিকার নেই। এদেশ থেকে তাঁরা চলে যেতে পারেন।” দিল্লিতে ফিরে সন্দেশখালির সমস্ত নথি রিপোর্ট আকারে পেশ করা হবে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার কাছে, জানিয়েছেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের আহ্বায়ক বিপ্লব দেব। তিনি বলেন, “এখানে এসে যা পরিস্থিতি দেখলাম তা ভয়াবহ। গরিব তফসিলি পরিবারের বাড়ি যেভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে তা নিন্দার ভাষা নেই। এঁদের এত আর্থিক ক্ষমতাও নেই যে ভাঙা বাড়ি মেরামত করে নেবে।
শুধু তাই নয়, বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে কল থেকে জলও আনতে পারছেন না এঁরা। শেখ শাহজাহান জেলে রয়েছে ঠিকই। কিন্তু,তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোরা এখনও অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে সন্দেশখালির বিভিন্ন প্রান্তে। এর আগে সন্দেশখালির ঘটনা গোটা দেশের মানুষ দেখেছিল। এবার ভোট পরবর্তী হিংসাও দেখছে জনগণ। আমরা এই সমস্ত তফসিলি গরিব মানুষের সুরক্ষার ব্যবস্থা করব। তার জন্য যা যা করণীয় তাই করা হবে ।”
Discussion about this post