লোকসভা নির্বাচন মিটতেই কয়লা পাচার কান্ডে সক্রিয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। কয়লা কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও ২। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের তলবে সাড়া দিয়ে নিজাম প্যালেসে এসেছিলেন এক ইসিএল কর্তা-সহ ২ জন। টানা জেরার পর তাঁদের গ্রেফতার করে ইডি। শুক্রবার সকালে ধৃতদের তোলা হয়েছে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। জানা গিয়েছে, দুজনের মধ্যে একজন হলেন নরেশচন্দ্র সাহা, যিনি ইসিএল কাজোড়া এরিয়ার জিএম আইইডিপদে কর্মরত। অন্যজন অশ্বিনী কুমার যাদব, তিনি পেশায় সিভিল কন্ট্রাক্টর। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তাদের কথায় অসংগতি ধরা পড়ে। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাতে সিবিআই এই ইসিএল আধিকারিক সহ দুজনকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার সকালে কলকাতা থেকে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা তাদেরকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করে। জানা গেছে, সিবিআই দুজনকে ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে। আজ বেলা সাড়ে এগারোটার পরে সওয়াল-জবাব শুরু হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, চার্জশিটে যে ৩৪ জনের নাম আছে তার বাইরে এই দুজন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে কয়লা পাচার মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে অনুপ মাঝি ওরফে লালার নাম। লালার বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। লালার সঙ্গী বলে পরিচিত গুরুপদ মাজি-সহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। পরবর্তীতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু হদিশ মিলছিল না লালার। পরবর্তীতে জানা যায়, ভানুয়াতুরে লুকিয়ে তিনি। গতমাসে আচমকা কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আত্মসর্মপণ করেন। বর্তমানে জামিনে মুক্ত তিনি। তবে বেশ কিছু নির্দেশ মানতে হচ্ছে।
Discussion about this post