লোকসভা ভোট মিটতেই জামিন পেলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা। জামিন পেলেন ভাঙরের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। মঙ্গলবার তাঁর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে আরাবুলের জামিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন শর্তসাপেক্ষে জামিন হয় আরাবুলের। তবে এই নির্দেশ যেহেতু সদ্য দেওয়া হয়েছে সেই কারণে এখনও এর নির্দেশনামার কপি উচ্চ আদালতের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়নি। তাই ঠিক কী কী শর্তসাপেক্ষে তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার জানা যায়নি। তবে যেহেতু জামিন শর্তসাপেক্ষ তাই এখনই ভাঙ্গরে ঢুকতে পারবেন না তৃণমূলের এই দাপটে নেতা।
অন্যদিকে পুলিশের কাছে তাঁকে কতবার হাজিরা দিতে হবে, কত টাকার বন্ডে তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট তা এখনও জানা যায়নি। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে ভাঙড়ে লাগাতার হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। ১৫ জুন মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে খুন হন মইনুদ্দিন মোল্লা নামে এক আইএসএফ কর্মী। সেই ঘটনায় তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আরাবুল ইসলামের নাম জড়ায়। খুনের অভিযোগ ছাড়াও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর সহ একাধিক অভিযোগে ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেফতার করেছিল উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। ধৃত আরাবুল ইসলামের নামে মোট ক’টি মামলা রয়েছে, কলকাতা পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। সেই উত্তর মেলেনি বলে দাবি করে, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা।
একইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন আরাবুল। এই সমস্ত কিছুর পেছনে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে বারংবার দাবি করেছিলেন আরাবুল। যদিও সেই অভিযোগ ধোঁপে টেকেনি। এর আগে বেশ কয়েকবার হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান তিনি। অবশেষে আজ, মঙ্গলবার আরাবুলের জামিন মঞ্জুর করল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এর মাঝেই গত এপ্রিলে আরাবুলকে দলের সাংগঠনিক পদ থেকে সরিয়ে দেন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভাঙড় বিধানসভার ‘আহ্বায়ক’ পদ দেওয়া হয়েছিল আরাবুলকে। সেই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এখন তিনি শুধুই তৃণমূলের কর্মী।
Discussion about this post