হাথরাসে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। আশ্বাস দিলেন, তাঁর দল কংগ্রেস সবরকমভাবে স্বজনহারাদের পাশে থাকবে। শুক্রবার সাতসকালে হাথরাসের দুর্ঘটনায় স্বজনহারাদের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল। রাহুল গান্ধী উত্তর প্রদেশের হাথরাস যাবেন, একদিন আগেই জানিয়েছিল কংগ্রেস। দিল্লি থেকে প্রথমে তিনি যান আলিগড়। হাথরাস কাণ্ডে মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আলিগড়ের বাসিন্দা ছিলেন। সেখানে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। আশ্বাস দেন পাশে দাঁড়ানোর। তারপর চলে যান হাথরাসে। সেখানকার স্বজনহারাদের সঙ্গেও কথা বলেন রাহুল। স্বজনহারাদের পাশে থাকার বার্তা দেন। স্বজনহারাদের সঙ্গে কথা বলার পর রাহুল গান্ধী বলেন করেন, “এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। কিন্তু, প্রশাসনের দিক থেকে অনেক খামতি রয়েছে গিয়েছে। স্বজনহারারা আমাকে জানিয়েছেন, পুলিশ প্রশাসনের তরফে ঘাটতি ছিল। এরা অধিকাংশই গরিব পরিবারের। এদের আরও বেশি আর্থিক সাহায্য করা উচিত প্রশাসনের। আমি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে অনুরোধ করব, খোলামনে অর্থসাহায্য করুন।”
প্রসঙ্গত, হাথরাসের ভোলে বাবার অনুষ্ঠানে গিয়ে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় কম্পক্ষে ১২১ জনের। জখম বহু। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবার ‘চরণরাজ’ বা চরণধুলি স্পর্শ করতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা রয়েছেন সেই বিতর্কিত ভোলে বাবা। অনুষ্ঠানকে ঘিরে একের পর এক বেনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে। মর্মান্তিক ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উলেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডের পর সেখানে গিয়েছিলেন রাহুল। সেবার হাথরাস যাওয়ার পথে বারবার বাধা দিয়েছিল পুলিশ। এবার তেমন বাধার মুখে পড়তে হয়নি।
কি আশ্চর্য সমাপতন! সেই ২০০০ সালে রাজ্যে তখন ভরা বাম শাসন। রাজ্যের প্রধান বিরোধী নেত্রী তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়...
Read more
Discussion about this post