তিস্তায় জল থাকলে তো দেব! এরপর উত্তরবঙ্গের মানুষ খাবার জল পাবেন না। টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। রীতিমতো ফুঁসছে তিস্তা, জলঢাকা। একাধিক রাস্তায় নেমেছে ধস। যার জেরে শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সিকিমের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। এই সমস্যার দায় কেন্দ্রের কাঁধেই চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ভুটান থেকে জল আসছে, যার জেরে ভুগতে হচ্ছে বাংলাকে। ডিভিসি যখন খুশি জল ছেড়ে দেয়, ফলে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। আয়েত্রী নদীর উপর বাঁধ তৈরির সময় রাজ্যকে জানানো হয়নি বলেও উষ্মাপ্রকাশ করলেন মমতা। কেন্দ্র ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির সময় বলেছিল গঙ্গার ভাঙন রোধে টাকা দেবে। কিন্তু আজ অবধি ১ পয়সা দেয়নি। নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে এই ভাষাতেই কেন্দ্রকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তরবঙ্গে বন্যার আশঙ্কা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গে বন্যার জন্য কার্যত কেন্দ্রকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী এদিন নবান্নে বলেন সিকিমে ১৪ টি বাঁধ করেছে কেন্দ্র, ফলে আমরা সুখা মরশুমে এমনিতেই জল কম পাচ্ছি। বর্যায় তিস্তার জলকে যেন না ধরা হয়। তিস্তায় জল থাকলে তবে তো বাংলাদেশকে জল দেব। এদিন মোদি সরকারকে বিঁধে মুখ্যমন্ত্রী বলেন গঙ্গার ভাঙন রোধে টাকা দেবে বলেছিল ওরা কিন্তু আজ অবধি ১ পয়সা দেয়নি কেন্দ্র। এদিন বর্ষার সময় পর্যটকদের পাহাড়ে অ্যাডভেঞ্চারের জন্য য়েতেও নিষেধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন ডিভিসি ড্রেজিং করছে না, ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই জল ছেড়ে দেওয়ায় বানভাসি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ২১ জুলাই উপলক্ষে প্রচুর মানুষ আসবেন কলকাতায়। রেল যদি আমাকে বগি ভাড়া দেয় তাহলে আপত্তি নেই। না হলে ভিড় সামলানোর দায়িত্ব রেলের। এদিন নবান্ন থেকে জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মিটিং করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব এবং কলকাতার মেয়র ববি হাকিম সহ পদস্থ সরকারি আধিকারিকেরা।
Discussion about this post