জমি জালিয়াতির অভিযোগ ভাঙড়ের তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বিএলআরও ও তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় FIR। জমি দখল, ফুটপাথ দখল। রাজ্যে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা অসাধু চক্র ভাঙতে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিএলআরও দফতরগুলিও তার আওতা থেকে বাইরে নয়। কী ভাবে সরকারি জমি দখল হচ্ছে, পুকুর-জলাশয় ভরাট হচ্ছে, রাতারাতি জমির চরিত্র বদলে যাচ্ছে, মিউটেশন দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে সরব হয়েছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর অসন্তোষের পর জেলাস্তরে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের ৪৫৬ জন আধিকারিককে একসঙ্গে বদলির নির্দেশ জারি করেছিল নবান্ন। সেই বদলির তালিকায় ছিলেন ভাঙড় ২ এর বিএলআরও অমিতাভ সেনগুপ্ত। এবার এই সরকারি আধিকারিক ও ভাঙড়ের তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের হাতিশালা থানায় অভিযোগ দায়ের করল একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি।
অভিযোগটা ঠিক কি? জানা গিয়েছে হাতিশালায় ইনফোসিসের পাশে ৩০৮ নম্বর দাগে কুশল ভারত নামে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির পাঁচিল ঘেরা জায়গা রয়েছে। অভিযোগ সেই জায়গাটি প্রতারণা করে স্থানীয় যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রশিদ মোল্লা নিজের নামে করিয়ে নিয়েছেন। কাজটি হয়েছিল সরকারি আধিকারিক অমিতাভ সেনগুপ্তের হাত ধরেই। জানা গিয়েছে ভাঙড় ২ ব্লক থেকে বদলি হওয়া বিএলআরও অমিতাভ সেন গুপ্ত সেই জমি ওই রিয়েল এস্টেট কোম্পানির পরিবর্তে তৃণমূল নেতা রশিদ মোল্লার নামে মিউটেশন করিয়ে দেন।
কেবল মাত্র রশিদ মোল্লা এলাকায় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা নন। তাঁর স্ত্রীও আবার ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ। নাম তুহিন বিবি। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রশিদ মোল্লা সবটাই হস্তগত করেছেন বলে অভিযোগ
Discussion about this post