সোমবার সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একদিকে কেন্দ্রীয় বাজেট এবং অন্যদিকে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন রাহুল গান্ধী।রায় বেরিলির সাংসদের বক্তব্যে উঠে আসে মহাভারত প্রসঙ্গ। বলেন, মহাভারতে যেমনটা হয়েছিল টিক তেমনই গোটা দেশ এখন চক্রব্যূহে আটকে পড়েছে। আর সেই চক্রব্যূহের প্রতীক পদ্ম বুকে বয়ে বেড়ান খোদ প্রধানমন্ত্রী। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই বাজেট থেকে অনেক প্রত্যাশা ছিল সাধারণ মানুষের। কিন্তু সেই প্রত্যাশা বাস্তবে প্রতিফলন হল কতটা? কংগ্রেস সাংসদ এদিন শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, ‘দেশ জুড়ে চক্রব্যুহ তৈরি করা হয়েছে, যা ব্যুহের কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে ৬ জন।’ রাহুলের মতে সেই ছ’জন হলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, মোহন ভাগবত, অজিত ডোভাল, অম্বানী ও আদানি।এরপরই রাহুলের বক্তব্য ঘিরে উত্তাল হয় সংসদ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন স্পিকার ওম বিড়লা। রাহুল বলেন, “মধ্যবিত্তরা আগে প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করতেন।
কোভিডের সময় প্রধানমন্ত্রী থালা বাজাতে বলেছিলেন, মধ্যবিত্তরা থালা বাজিয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী মোবাইলের আলো জ্বালাতে বলেছিলেন, সেই আলোও জ্বালানো হয়েছিল। আর বাজেটে সেই মধ্যবিত্তের পিঠে, বুকে ছুরি মারা হয়েছে।” রাহুলের সংযোজন, “চক্রব্যুহের জন্য কোটি কোটি মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা এটা ভাঙবই। লিগাল এমএসপি এই ভবনে পাশ হবেই। ইন্ডিয়া জোট এটা করে দেখাবেই।” রাহুলের বক্তব্য শুনে উষ্মা প্রকাশ করেন স্পিকার। স্পিকার রাহুলকে জানান, যাঁরা লোকসভার সদস্য নন, তাঁদের নাম ব্যবহার করা যাবে না। সাংবিধানিক পদে থেকে রাহুল যাতে সংসদীয় রীতি রেওয়াজ মেনে চলেন, সেই বার্তা দেন স্পিকার। এরপর অবশ্য রাহুল আম্বানী, আদানি ও অজিত ডোভালের নাম প্রত্যাহার করে নেন। তবে বাকি তিনটি নামের ক্ষেত্রে নিজের বক্তব্যে অবিচল থাকেন।
Discussion about this post