অলিম্পিকের পদক অমূল্য। সেই পদক তো অনেকেই পান। কিন্তু মিশরীয় ফেন্সার নাদা হাফেজ পদক পাননি। তবুও তাঁকে কুর্ণিশ জানাচ্ছে গোটা বিশ্ব। কারণ, নাদা হাফেজ ৭ মাসের অন্তঃসত্তা! গর্ভে সন্তানকে নিয়েই তিনি লড়াই করতে এসেছিলেন প্যারিসে। এবারের অলিম্পিক্সে তাঁর কাহিনী শুনে শিহরিত হচ্ছেন অনেকেই। ২৬ বছরের এই ফেন্সার পেশায় প্যাথলজিস্ট । এই নিয়ে তৃতীয়বার ফেন্সিং প্রতিযোগীতায় মেয়েদের ব্যক্তিগত স্যাবর ইভেন্টে অংশ নিয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছিলেন। কিন্তু তারপর আর এগোতে পারেননি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিযোগী হা ইয়াং জিওনের কাছে কাছে রাউন্ড অফ সিক্সটিনে ৭-১৫ পয়েন্টে হেরে গিয়েছেন তিনি।
প্যারিসের ফেন্সিং স্ট্রিপ ছাড়ার সময় মায়ের চোখে জল দেখেছে গোটা দুনিয়া। শুধু দেখেনি নাদাকে ভরিয়ে দিয়েছে ভালোবাসা শুভেচ্ছায়। ইনস্টাগ্রামে অসাধারণ মর্মস্পর্শী পোস্ট করেছেন নাদা। তিনি লিখেছেন, ‘পোডিয়ামে আপনারা দুজন খেলোয়াড়কে দেখেতে পেয়েছেন। আসলে আমরা কিন্তু তিনজন ছিলাম! আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী এবং আমার ছোট্ট সন্তান। যে এখনও পৃথিবীতে আসেনি। গর্ভাবস্থায় যে রোলার কোস্টার যাত্রা চলে, তা এমনিতেই কঠিন। তবে জীবন ও খেলাধুলার ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য এই লড়াই কোনও অংশে কম ছিল না। আমি তিনবারের অলিম্পিয়ান। তবে আমার কাছে এই অলিম্পিক্স একদম আলাদা। কারণ আমার সঙ্গে এক ছোট্ট অলিম্পিয়ানও ছিল। স্বামী ইব্রাহিম ইহাব এবং পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। নাদার ভাবি সন্তান জানবে, প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে তাঁর মা শূন্য হাতে ফিরেননি। ফিরেছে এক পৃথিবী ভালোবাসা নিয়ে।
Discussion about this post