লাগাতার বৃষ্টি ও ভূমিধ্বসে বিপর্যস্ত কেরলের ওয়েনাড। এখনও পর্যন্ত ১৫৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। নিখোঁজ শতাধিক। বুধবার এই ঘটনায় সংসদে কেরল সরকারকেই দায়ী করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভূমিধস নিয়ে কেরলের বাম সরকারকে আগেই সতর্ক করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু কেরল সরকার সময় থাকতে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর বন্দোবস্ত করেনি। তা করা হলে প্রাণহানি অনেক কম হত। রাজ্যসভায় এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক ভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বিপর্যয়ের সময়ও রাজনীতি করছেন অমিত শাহ। কেরলে অত্যধিক বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। তার প্রভাবে যে ধস নামতে পারে। অন্তত এক সপ্তাহ আগে সতর্ক করা হয়েছিল কেরলের বাম সরকারকে। এদিন রাজ্যসভার অধিবেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, গত ২৩ জুলাই কেন্দ্র কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকারকে এ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, “কেরলে আগেভাগেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর নয়টি দলকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কেরল সরকার সময় থাকতে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর বন্দোবস্ত করেনি। তা করা হলে প্রাণহানি অনেক কম হত। আমি স্পষ্ট করে আজ বলতে চাই, ২৪,২৫, এর পরে ২৬ তারিখেও দেওয়া হয়েছিল ভারী বৃষ্টির ও ভূমিধ্বসের সতর্কতা। পাশাপাশি বহু মানুষ চাপা পরে প্রাণ হারাতে পারে বলেও সতর্কতা করা হয়।”
উল্লেখ্য, কেরলের ওয়েনাড়ে ভূমিধসের কারণে কমপক্ষে ১৫৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সহ উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা। পরিস্থিতির তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পরিস্থিতিতে কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকারকে গোটা ঘটনার জন্য দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এক ভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বিপর্যয়ের সময়ও রাজনীতি করছেন অমিত শাহ, কারণ কেরলে বিজেপির নয় বামেদের সরকার শাসন করছে
Discussion about this post