প্রয়াত বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। কয়েক মাস আগে হাসপাতালে ভর্তিও হয়েছিলেন। স্থিতিশীল অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসেন। হাসপাতালে থাকার অনিহা প্রকাশ করতেন তিনি। তাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বাড়িতেই চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বুদ্ধবাবু। মৃত্যুকালীন সময়ে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। শোকজ্ঞাপন করেছেন বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্যপাল। সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব থেকে বিভিন্ন মহলের মানুষ। এইবার বুদ্ধবাবুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন শ্রীলেখা মিত্র। বুদ্ধবাবুর কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসছে অনীক দত্তর।
তিনি বামফ্রন্টের শেষ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা রাজ্য। কমরেড তারকারা মেনে নিতেই পারছেন না বুদ্ধবাবু আর নেই। শ্রীলেখা মিত্র জানান, বাংলার মানুষ যা করেছেন বুদ্ধদেব বাবুর সঙ্গে তা ক্ষমার অযোগ্য। কারও কাছে মাথা নোয়ালেন না। মাথা উঁচু করে কষ্ট চেপে রেখে চলে গেলেন।
অনীক দত্ত জানান, গভীর অন্ধকারে এককোণে নিভৃতে এক প্রদীপ জ্বলেছে। সেটা নিভে গেল। শোকের থেকে বেশি ক্রোধ হচ্ছে। ভীষণ রাগ হচ্ছে। কারণ হিসাবে নিজেই বলে দিয়েছেন, আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এর কোনও ক্ষমা নেই। তার ফল আমরাই ভুগছি।
অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জীতু কামাল জানান, আজ থেকে আর কমরেড পরিচয় নয় আমার। কেউ কমরেড বলে নাই বা ডাকলেন। ডাকলেও অনুমতি নেবেন। সিপিআইএম রইলাম না আর। বুদ্ধপন্থী হয়ে রয়ে গেল আমার পরিচয়। তিনি সংযোজন করেন, প্রত্যেকেই দেখছি ব্যতিক্রমী পোস্ট করতে। শ্রদ্ধার ঝুলি খুলে রাজপথে ফুল ঝড়ানোর হিড়িক পড়েছে।
সর্বশেষ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দলীয় কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে। অসুস্থ শরীর নিয়েই কোনওক্রমে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে হাজির হয়েছিলেন তিনি। খারাপ সময়ে দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে, তাদের শক্তি জোগাতে তিনি সেখানে পৌঁছছিলেন। তাঁর প্রয়াণে কার্যত প্রত্যেকেই শোকস্তব্ধ।
Discussion about this post