রাত পৌনে তিনটের সময়ও খুড়তোত ভাইকে নিজের ফোন থেকে মেসেজের রিপ্লাই পাঠিয়ে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। এদিকে সেইরাতে রাত ৪ টে ৩ মিনিটে সঞ্জয়কে সেমিনার হলের করিডরে দেখা যায়। ৪ টে ৩২ মিনিট নাগাদ সঞ্জয় চেস্ট ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যান।
তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্তের বিষয়টি নিয়ে ক্রমশই জলঘোলা হচ্ছে। শেষ মুহুর্তে ঠিক কি কি করেছিলেন তরুণী, কার সঙ্গে কথা বলেছিলেন ইত্যাদি নানা প্রশ্ন রয়েছে। সম্প্রতি সেমিনার রুমের করিডরের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। সেখানে সঞ্জয়ের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। হাতে ধরা হেলমেট ও গলায় নেক ব্যান্ড রয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে রাত পৌনে ৩ টে নাগাদ নিজের খুড়তোত ভাইকে মেসেজের রিপ্লাই দিয়েছিলেন নির্যাতিতা। সেদিন টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি শেষে সেমিনার রুমে বিশ্রাম নিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তরুণী। অনুমান করা হচ্ছে এরপরই সঞ্জয় ঝাঁপিয়ে পড়েন তরুণীর উপর। সেদিন ঘড়ির কাঁটা অনুসারে ঠিক কি ঘটেছিল একপ্রস্থ অনুমান করা প্রয়োজন
পৌনে ৩ টে থেকে ৪ টে ৩২ মিনিট
ভোর ২টো ৪৫ মিনিট: খুড়তুতো ভাইকে মেসেজের রিপ্লাই করেন তরুণী।
ভোর ৩টে ৪২ মিনিট : অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় আরজি কর হাসপাতালের গেট দিয়ে প্রবেশ করেন।
ভোর ৩টে ৪৮ মিনিট: সঞ্জয় রায়কে এমার্জেন্সি বিভাগ ও বিল্ডিংয়ের ব়্যাম্পে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
ভোর ৪টে ৩ মিনিট: সেমিনার হলের ৪ তলার করিডোরে সঞ্জয়।
ভোর ৪টে ৩২ মিনিট : সঞ্জয় রায় চার তলার চেস্ট ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যান।
ভোর ৪টে ৩৭ মিনিট: সঞ্জয় রায় বাইকে করে আর জি কর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান।
ইতিমধ্যে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলা কলকাতা পুলিশের হাত থেকে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই এর হাতে। সম্প্রতি পলিগ্রাফ টেস্ট হয় সঞ্জয়ের। সূত্রের খবর সঞ্জয় দাবি করেন সেমিনার হলে তাঁর পৌঁছানোর আগেই তরুণী খুন হয়েছিলেন।
Discussion about this post