আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ ও মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে আন্দোলনকারীদের উপরে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদেই আজ ১২ ঘণ্টার তদন্তের ডাক দিয়েছে বিজেপি। গতকালই সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিকে বিজেপির বনধ ঘিরে দিকে দিকে বিক্ষোভ। গড়িয়াহাট মোড়ে বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলীকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান অটো চালকদের। ‘তৃণমূলের কাছে পুলিশ বড় অস্ত্র। আমাকে ডায়মন্ড হারবার এর পুলিশ মেরেছিল, আমি ভুলিনি’, বললেন বিজেপি নেত্রী। পাশাপাশি তীব্র নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জানিয়ে রাখি, বনধ ঘিরে সম্মুখমসরে বিজেপি-তৃণমূল। গড়িয়াহাট মোড়েও ধুন্ধুমার। পৌঁছোলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল সেইসাথে দেখা গেলে বেশ কিছু বিজেপি কর্মীদের আটক করলো পুলিশ। পরে কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় যানজট নিয়ন্ত্রণে আসে। অন্যদিকে, বিজেপির বনধ ঘিরে তুলকালাম শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়। টেনে হিঁচড়ে লকেট-রাহুলকে আটক করলো পুলিশ। তারপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা।এদিকে, সজল ঘোষকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হলো লালবাজারে। পাশাপাশি, মানকুন্ডু স্টেশনের রেল অবরোধ ঘিরে ধুন্ধুমার। লাঠিচার্জ পুলিশের। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ভোগান্তি যাত্রীদের।সোনারপুরে রেল লাইনের উপর শুয়ে ট্রেন অবরোধ। জোর করে অবরোধ তুলল পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা ধস্তাধস্তিও হয়। ঘটনায় গ্রেফতার কমপক্ষে ১৫ বিজেপি নেতা কর্মী। পরে সোনারপুর থানাতেও পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়। ওদিকে ভাটপাড়ায় গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এক ব্যক্তির কানে গুলি লেগেছে বলে দাবি করা হয়েছে। যদি বিজেপি নেতা অর্জুন সিং দাবি করেছেন, ২ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, "গাধা গুলিয়ে জল খায়"। বর্তমান রাজ্য প্রশাসনের অবস্থা ঠিক সেরকমই। যে দাবি মানতেই হল, সেই সিদ্ধান্ত...
Read more
Discussion about this post