গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপর নির্বাচনের চাপ দিতে পারে নতুন মার্কিন প্রশাসন। চীনকে সামনে রেখে নতুন করে ভারতের সঙ্গে গড়ে উঠতে পারে বাণিজ্যিক সম্পর্ক। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে মিত্রদের উপর চাপ বাড়িয়ে শুল্ক আরোপে সক্রিয় হতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন। কর বসালে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশের রফতানি বাজার। আমেরিকার ক্ষমতার রদবদল হওয়াতে সে দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঠিক কোন সমীকরণে দাঁড়াবে তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাধিক মত তৈরি হচ্ছে। অনেকে বলছেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের জন্য অনেক বেশি আশানুরূপ। আবার অন্যদিকে অনেকে বলছেন, ট্রাম্পের প্রশাসন বাংলাদেশের জন্য নিরাশাজনকই হবে। বিশেষ করে মোঃ ইউনূস এর কার্যকলাপ হতাশা তৈরি করেছে আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশকে। ট্রাম্প নিজে বাংলাদেশ নিয়ে বেশ কিছু নিন্দার মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর, তা বাংলাদেশের জন্য কোনও কঠিন পদক্ষেপ আসতে চলেছে, মনে করছেন অনেকে।
১২৮ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ সমর্থন নিয়ে বিজয়ের মুকুট মাথায় পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ তার। গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে শত গ্রহনের পরে বাংলাদেশের উপর চাপ আসতে পারে ট্রাম্পের দেশ থেকে। কারণ বাংলাদেশে নেই স্থায়ী কোনও সরকার। যে কোনও দেশের পরিস্থিতি আয়ত্তে থাকার জন্য প্রয়োজন একটি সাধারণ মানুষের নির্বাচিত সরকার। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও নেই স্থায়ী সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার ৯০ দিনের মাথায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই নির্বাচন হয়নি। পরে এই দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক দলগুলি চাপ সৃষ্টি করতে থাকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপর। রাজনৈতিক দলগুলি চাপে পড়ে, দুটি সম্ভাব্য সময় দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস। ২০২৫ এর শেষে অথবা 2026 এর মাঝামাঝি সময়। তবে কোন কোন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তা এখনো পর্যন্ত ঠিক হয়নি। বিএনপি যে নির্বাচনে লড়বে তা বলাই বাহুল্য। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি একমাত্র শক্তিশালী দল। তাছাড়াও সরকারের আমলে নিষিদ্ধ হওয়া বেশি কিছু সংগঠন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন তাদের বেড়ে ওঠার পেছনে রয়েছেন ইউনূস। তবে তারাও এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা সেই নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।
সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। দুই দেশের সু সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। বাংলাদেশের বেশ কিছু মৌলবাদী সংগঠনের নেতারা লাগাতার ভারতকে হুমকি, হুশিয়ারি দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভারত বিদ্বেষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিকে ভারতও সেগুলো যে ভালো চোখে দেখছে না, তাও বোঝা যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকাতে কাঁটাতার লাগানোকে কেন্দ্র করে বিএসএফ এবং বিজিবির সংঘাত তৈরি হচ্ছে। অনেকে বলছেন, ইচ্ছে করে এই সংঘাত তৈরি করা হচ্ছে। যাতে ভারতকে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধের জন্য। কিন্তু ভারত পা ফেলছে সন্তর্পণে। তবে বাংলাদেশ ভিতরে ভিতরে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। অস্ত্র আমদানি করছে পাকিস্তান থেকে। তবে অনেকে বলছেন, আজকের পর অর্থাৎ ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর ইউনূসের দাদাগিরি শেষ হবে। এখন দেখার, শেষমেশ কি হয়।
Discussion about this post