বাংলাদেশ জঙ্গি রাষ্ট্রের পথে। চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট তুলসীর হাতে। এবার কি তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গিয়ে বড় কোন পদক্ষেপ নিতে পারেন? ডোনাল্ড ট্রাম কি এবার মুহাম্মদ ইউনুসের
বিরুদ্ধে এমন কিছু করতে চলেছেন, যাতে মহা বিপদে পড়বে বাংলাদেশ? এই প্রশ্ন গুলি কার্যত মাথাচাড়া দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ভারত সফর করেছেন তুলসি গ্যভার্ড। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকের নির্যাস সামনে আসেনি। তবে তবে অনুমান করা হচ্ছে, দুই দেশের নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠেছে বলে অনুমান করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বৈঠকের পর তুলসি বাংলাদেশে বেড়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তুলসী বলেছেন, বাংলাদেশে ক্রমশ উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে।
বাংলাদেশের খিলাফত গড়ার ডাক দিচ্ছে বেশ কিছু সংগঠন। এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তুলসী বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। যতদিন এগোচ্ছে বাংলাদেশে উদ্বেগ জনক খবর ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। তুলসি গ্যবর্দ সরাসরি বাংলাদেশকে জঙ্গি বিষয় নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, এরপর যদি বাংলাদেশ সতর্ক না হয়, তবে আমেরিকা কড়া পদক্ষেপ করবে।
মনে করা হচ্ছে, এই বৈঠক থেকে ঠিক হয়ে গেল আগামী চার বছরের জন্য আমেরিকা ও ভারতের গুরুত্বের বিষয়টি। তবে গোপনীয়তার সঙ্গে প্রথম বৈঠক হল অজিত ডভালের সঙ্গে তুলসি গ্যবাদের। এমনকি জানা গিয়েছে, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আরও একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে ভারত ও আমেরিকার বিভিন্ন অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর। তবে সবথেকে বেশি আলোচিত হচ্ছে, তুলসি গ্যাবার্ড এবং অজিত দোভালের বৈঠক।
সূত্র বলছে, এই বৈঠক থেকে ভারত আমেরিকার কৌশলগত বোঝাপড়া করা হয়েছে। পিটিআই একটি প্রতিবেদনে সূত্র কে উদ্ধিত করে বলেছেন, এই বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে।
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত এবং আমেরিকার মাথা ব্যথার একটি ইস্যু সন্ত্রাসবাদ বা অনুপ্রবেশকারী। কোনভাবেই দেশে ঢুকে যাতে অনুপ্রবেশকারীরা বা কোনও জঙ্গি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে না পারে, সেই নিয়েই জোরদার নিরাপত্তার কাজ চালানো হচ্ছে। এই বিষয়ে দুই দেশ দুই দেশকে সহযোগিতা করবে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
Discussion about this post