হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি রীতিমত উত্তপ্ত। সেখানে থাকা সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে। আওয়ামী লীগ সদস্যরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এর নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশে বেড়ে ওঠা বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদ সংগঠন ও পাকিস্তানি জঙ্গি গুপ্ত সংগঠন। কিন্তু এদের প্রশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার। সমস্তটা বুঝেও পরোক্ষভাবে মদত দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস, বলছেন অনেকে। কারণ ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়ার পরও কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তিনি। হাসিনা জমানা শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে বহু সন্ত্রাসকে জেলমুক্তি দিয়েছেন ইউনুস। তাদের বিরুদ্ধে ছিল রাহাজানি, চুরি, ডাকাতি, খুনের মতো অভিযোগ। কিন্তু সেসব তোয়াক্কা করে না বাংলাদেশের বর্তমান উপদেষ্টারা। দেশকে জলাঞ্জলি দিয়ে কিভাবে জঙ্গিদের কাছে বিক্রি করা যায়, তারই পরিকল্পনা ছোকছে তারা। বলছেন বাংলাদেশেরই বহু মানুষ। খবর রয়েছে, এক মাসের মধ্যে দেড়শো জনেরও বেশি জঙ্গি মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশ ক্রমশ জঙ্গি রাষ্ট্রের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান এই বিষয়ে উদাসীন। মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সন্ত্রাসবাদীদের সেনা নাকি ঠেকাতে পারছে না। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, সেনাবাহিনী প্রথম থেকে সজাগ হলে এই পরিণতি দেখতে হত না পদ্মাপাড়ের মানুষদের। হাসিনার পতন ও ভারতে তার আশ্রয় …এই দুয়ের পর থেকে সেদেশে ভারত বিরোধী স্লোগান শোনা গেছে। শুধু তাই নয়, ভারতের একাংশ দখলের হুমকির মতো ঘটনাও লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু ভারতের তরফে কখনোই কোনও বিরূপ মন্তব্য করা হয়নি। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুখ খোলেননি। এক দুবার এই প্রসঙ্গ উঠলেই, হয় তিনি এড়িয়ে যেতেন, না হয় বলতেন বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এগুলি সরকারের কথা নয়। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, ভারতের সেভেন সিস্টারস দখলের পোস্ট ফেসবুকে যে দিয়েছিলেন, সেই মাহফুজ আলম এখন উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টার পদ থেকে নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করতেই তার জায়গায় বসানো হয় মাহফুজ আলমকে। যে কট্টর ভারত বিরোধী বলে পরিচিত।
মনে করা হচ্ছে, এই সাত মাসে বাংলাদেশ যে অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, এখন তার দ্বিগুণ পরিস্থিতি হবে। সবথেকে ভয়ঙ্কর খবর, দেশের সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে চলছে ষড়যন্ত্র। এমনকি তাকে প্রাণে মেরে ফেলার ছক কষা হয়েছিল। যদিও বরাত জোরে তিনি বেঁচে জন। খবর রয়েছে, এরপরই সক্রিয় হয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।
কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, পরিস্থিতি শেষ মুহূর্তে কি আয়ত্তে আনতে পারবেন তিনি? সূত্রের খবর, সেনা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে। স্থায়ী সরকার গঠনের জন্য নির্বাচন নিয়েও দেশের অন্দরে চলছে জলঘোলা। গড়িমসি করার অভিযোগ উঠেছিল বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের বিরুদ্ধে। আর এই ঘোলাজোল মাছ ধরার চেষ্টা করছে জামাত ইসলামীর মতো কট্টরপন্থীগুলি। গঠিত হয়েছে, একটি নতুন রাজনৈতিক দল, জাতীয় নাগরিক পার্টি। অনেকে বলছেন, এই দল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য পেতে যত দিন সময় লাগবে, ততদিন নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করা হবে। তবে বিএনপির মতো শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের চাপে আছেন মোহম্মদ ইউনূস।
এই সমস্ত বিষয় অজানা নয় সেনাপ্রধানের। কিন্তু প্রথম দিকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। তবে সেই নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেউ বলে, দেশে যাতে শান্তি বিঘ্নিত না হয়, সেই কারণেই চুপ ছিলেন সেনাপ্রধান। আবার কেউ বলেন,তার চুপ থাকাতেই দেশের সর্বনাশ ডেকে নিয়ে এসেছে। যদিও এখন সক্রিয় হচ্ছে সেনাবাহিনী। কিন্তু আদেও লাগাম টানা যায় কিনা, সেটাই দেখার।
Discussion about this post