সেনা অভ্যুথানের পথে হাঁটতে বাংলাদেশ? বাংলাদেশে মৌলবাদ মাথা চারা দিয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত। এবার জেলের মধ্যেই আওয়ামি নেতাদের হত্যার নির্দেশ মৌলবাদীদের আঙ্গুলিহেলনে চলা ইউনুসের। এর ফলে নাজেহাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি একটি গোপন বৈঠক করে বাংলাদেশ সেনার শীর্ষকর্তারা। মূলত সেই বৈঠকে বাংলাদেশের মৌলবাদের সক্রিয়তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মেজর জেনারেল, লেফ্টনেন্ট জেনারেল ও ব্রিগিডিওর পদের সেনাকর্তাদের নিয়েই দীর্ঘ এই বৈঠক করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান।
রিপোর্ট বলছে বাংলাদেশের রাজনীতি ও সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই মৌলবাদী সংগঠনের এই বাড়বড়ন্ত। হিজবুত তাহরির নেতা মাহফুজ আলম বাংলাদেশের ক্যান্টনমেন্টে বসে মৌলবাদী ও সেনাবাহিনীকে পরিচালনা করছে বলেই অভিযোগ কুটনৈতিক মহলের। এ নিয়েই ইউনুস প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
কে বা কারা পরিচালনা করছে মৌলবাদী ও সেনাবাহিনীকে, এই প্রসঙ্গে মোহাম্মদ ইউনুসকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে দেওয়া হয় মৌলবাদ যদি বাড়তে থাকে বাংলাদেশে তাহলে তা চুপ করে দেখবেনা মার্কিন প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই মার্কিন হুঁশিয়ারীর পর বাংলাদেশে সংবিধান বদল সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত স্থাগিত রাখা হয়। অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ জুড়ে জেলবন্দি থাকা আওয়ায়মি লিগের নেতা কর্মীদের জেলের মধ্যেই হত্যার পরিকল্পনা করচ্ছে সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর মতো ছাত্র নেতারা। তবে মার্কিন হুঁশিয়ারীর পর এই পরিকল্পনা র বিষয়েও নড়েচড়ে বসে ইউনুস।
আওয়ামী লিগের জেলবন্দী প্রাক্তন নেতাদের হত্যার পরিকল্পনাই করা হয়েছিল। বিভিন্ন নেতাদের খুনের পরিকল্পনা কিছুটা প্রকাশ পেতেই জেলে তাদের নিরাপত্তা তিন গুন বাড়িয়ে দিয়েছে সেনাকর্তারা। বাংলারেশের প্রতিটি জেলে যেখানে প্রাক্তন আওয়ামী নেতারা বন্দি সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা জয়ানদের।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পালাবদলের পর সেদেশের সরকারের মাথায় বসেছেন অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। এরপর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে প্রাক্তন মার্কিন সরকারের সম্পর্ক কিছুটা উন্নতি ঘটে। উল্লেখ্য, আগের শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে প্রাক্তন মার্কিন সরকারের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। এই সবের মাঝেই ইউনুস বাংলাদেশ সরকারের মাথায় বসার পর তাঁকে সবধরনের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। উল্লেখ্য, ইউনুসের সঙ্গে ক্লিনটনদের বেশ ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। এমনকী তিনি আমেরিকায় গিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের মাথা’কে চিনিয়ে দিয়েছিলেন ক্লিনটনের ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানেই।
এরপর ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতেই ‘বন্ধু’কে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান নরেন্দ্র মোদী। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে পোস্ট করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্তরিক অভিনন্দন। আশা করব আপনার আগের মেয়াদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার হবে। আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার সেই ধারা ফিরিয়ে আনার জন্য আমি অপেক্ষা করে আছি। আসুন একসঙ্গে আমাদের জনগণের উন্নতির জন্য এবং বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করি।’
আমরা সকলেই জানি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রামপের সঙ্গে বন্ধুপূর্ণ সম্পর্ক। আর চলতি মাসের ২০ তারিখে শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প সেখানে চাপ পড়বে যে বাংলাদেশের অন্তরবর্তী তদারকি সরকার তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
Discussion about this post