বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরে গিয়েছেন। চীনে গিয়ে ১৩৮ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। যা বাংলাদেশের মূল্যে ২৪ হাজার কোটি টাকা। এই টাকাটা নেওয়ার জন্য বা চাওয়ার জন্য তিনি চীনে হাজির হয়েছেন। সেখানকার রাষ্ট্রপ্রধান সি জিং পিং এর সঙ্গে দেখা করে টাকার সুরাহা করে তিনি দেশে ফিরবেন। এমনটাই পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই পরিকল্পনা এখন বিশবাও জলে। কারণ সি জিং পিং মহম্মদ ইউনূসকি শুধুমাত্র আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই দেননি।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে চীন সফরে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান আবেদন করেছিলেন ভারত সফর করতে। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি ভারত। আসলে, এর আগে যতবার বাংলাদেশের পূর্বতন প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর করেছেন, তার আগে ভারতে এসে আলোচনা করে গেছেন। শেখ হাসিনাও সেই ধারা বোঝায় রেখেছিলেন। এইবার সেই ধারা বোঝায় থাকল না। যদিও অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয়, দীর্ঘদিন ধরে হয়ে চলা ধারা বজায় রাখতে চেয়েছিলেন মহম্মদ ইউনূস। কিন্তু ভারত সারা দেয়নি। এবারও ভারতের দিকে আঙ্গুল তোলে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের তদারকি সরকারকে মানে না ভারত। সেটা ধারেভারে বুঝিয়ে
দেয় ভারত সরকার।
এরপর চীন সফরে যায় মহম্মদ ইউনূস। বলা হয়, তিস্তা মমহাপ্রকল্পের বাস্তবায়ন করতে গিয়েছেন চীনে। ভারতকে টপকে চীনের সঙ্গে বৈঠক করতে কতটা সফল হবে ইউনূস, সেটা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন। কারণ এর আগেও বহুবার শেখ হাসিনা তিস্তা মহাপ্রকল্পের রূপায়ণ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন হয়নি।
তবে চীন সফরে গিয়ে কিছু হোক না হোক.. চীনের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন ইউনূস, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দেখার, বাংলাদেশে তিনি আদেও ফিরতে পারেন কিনা।
Discussion about this post