বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার বর্মা দিল্লিতে এসেছিলেন। দেখা করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বীবেদির সঙ্গে। তবে এই রকম একটি ঘটনার নিদর্শন কূটনৈতিক মহলে আছে কিনা, সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। হটাৎ এমন একটি সাক্ষাৎকার, প্রশ্ন তৈরি করছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকি এটাও বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল পর্যায়ে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বহুবার তার কৌশলে বলে দিয়েছে, মহম্মদ ইউনূসকে একজন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তার পছন্দ নয়। তার মদতে বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়ে উঠেছে, সেটা জানেন সেনাপ্রধান। শুধু তাই নয়, দেশে নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের জন্ম নেওয়া, তাতেও ইউনূসের হাত রয়েছে, বুঝেছেন ওয়াকার। এমনকি কিছুদিন আগে, একজন ব্যারিস্টার সেনা চাওনিকে গুড়িয়ে দেবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। কিন্তু তার কোনও ব্যবস্থায় হয়নি। এমনকি সেনাপ্রধানকে সারমেয়র সঙ্গে তুলনা করেন। কাজেই প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের আমলে গোটা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে, সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
আসলে সেনাপ্রধানের প্রথম আপত্তির বিষয় ছিল, ইউনূসের ভারত বিদ্বেষী মনোভাব। যেটা মোটেই মেনে নিতে পারছেন না ওয়াকার। এমনকি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেছিলেন, ভারতের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। এমনকি আমাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। উল্লেখ করেছিলেন ওয়াকার। আর তখন থেকেই ছাত্রনেতা ও প্রধান উপদেষ্টার রোষানলে পড়েছেন সেনাপ্রধান। কিন্তু তিনি শুধুমাত্র নিজের কথা না ভেবে, গোটা দেশের কথা ভাবতে গিয়ে, নির্বাচনের জন্য চাপ সৃষ্টি করেছেন ওয়াকার। কিন্তু ইউনূস এত সহজে নির্বাচন চান না, ক্ষমতা ছাড়বেন না, সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। আর তার জন্য বারেবারে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিষয়টি এড়িয়ে যান। এখন ইউনূস চীন সফরে গিয়েছিলেন। এর সময়কে কাজে লাগিয়ে যদি সেনাপ্রধান সেনা শাসন জারি করে দিতেন বাংলাদেশে, তাহলে কি করতেন ছাত্রনেতারা? যদিও ছাত্রনেতারা ইউনূসের থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে সেনাবাহিনীও সিদ্ধ হস্তে নেমে পড়েছে বাংলাদেশের রাস্তায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে। অনেকে বলছেন, ইউনূসের পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে।
Discussion about this post