২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। তবে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে, জাতি উদ্বিগ্ন যে এই দিনটি থেকেই কি সেনা শাসনের সূচনা হতে পারে।সীমান্তে উত্তেজনা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে, সেনাবাহিনী তাদের ভূমিকা নিয়ে জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত।” অন্যদিকে ছাত্ররা চাইছে তাদের একমাত্র প্রতিপক্ষ সেনাবাহীনিকে নানা ভাবে দুর্বল করে দিতে। তার জন্য তারা প্রত্যেকেই সমাজ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সেনাবাহীনিকে অপদস্থ করার চেষ্টা করছে।এদিকে, সাধারণ জনগণের মধ্যে উদ্বেগ এবং উত্তেজনা স্পষ্ট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনা শাসনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হলেও, এটি বাস্তবায়িত হবে কিনা তা এখনও অনিশ্চিত।কারণ সেনা তার হাতে ক্ষমতা নিলে জাতিসংঘে যে বাংলাদেশের শান্তি সেনা কাজ করছে, তার ভবিষ্যত নষ্ট হয়ে যাবে।
জাতি এখন অপেক্ষা করছে ২৬ শে মার্চের ঘটনাবলীর জন্য, যা দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।দেশে জারি হয়েছে একপ্রকারের জরুরি অবস্থা। সীমান্তের পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। শেখ হাসিনা বর্তমানে সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করছেন, যা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ এবং উত্তেজনা স্পষ্ট। সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, এবং পুরো জাতি অপেক্ষা করছে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের জন্য, যা দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।এই সংকটময় পরিস্থিতিতে, জাতি একত্রিত হয়ে নেতৃত্বের সঠিক পথ খুঁজে বের করার জন্য প্রস্তুত। শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত কীভাবে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, তা জানার জন্য আর অপেক্ষা মাত্র কয়েক মুহূর্তের। ঘটনাটি কল্পনা করলে এই রকম যে,সন্ধ্যার আকাশে লাল সূর্য। সীমান্তবর্তী গ্রামে, তীব্র উত্তেজনা অনুভূত হচ্ছে। সংবাদপত্রের শিরোনামে বড় বড় অক্ষরে লেখা: “জারি হয়েছে ইমার্জেন্সি!”
“দেশে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। সীমান্তের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। শেখ হাসিনা বর্তমানে সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করছেন, আর এই পরিস্থিতি দেশের আভ্যন্তরিন রাজনীতিকে আরও জটিল করে তুলছে।” হাসিনা যেখানে অবস্থান করছেন সেটি একটি ছোট্ট গ্রাম। সাধারণ মানুষ দিশেহারা। চায়ের দোকানে আলোচনা চলছে। দোকানের মালিক অন্যদের বলছন “আপনারা শুনেছেন? শেখ হাসিনা নাকি খুব কাছেই আছেন। এবার কি হবে?” গ্রামের কয়েকজন যুবক বললেন “যা হবার হোক, আমরা একসাথে থাকবো। আমাদের পরিচয় আমাদের গ্রাম, আমাদের দেশ! বাংলাদেশ” ঠিক তখন সীমান্তে টহলরত সেনাবাহিনীর এক ইউনিট। প্রত্যেকের মুখে উদ্বেগ স্পষ্ট। এক কমান্ডো বলে উঠলেন, “আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। কেবল কয়েকটা মুহূর্তের ব্যাপার, তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এবার কল্পনার শেষ মহুর্ত-শেখ হাসিনার একটি গাড়ি সীমান্তের কাছে এসে থামে। সাংবাদিকেরা অপেক্ষায়। পুরো জাতি শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে।
“জাতি তাকিয়ে আছে। শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত কীভাবে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, তা জানার জন্য আর অপেক্ষা মাত্র কয়েক মুহূর্ত।” এবার কল্পনার দৃশ্যগুলো সরিয়ে আসুন বাস্তবে ফিরে দেখি। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে ছাত্রনেতা, রাজনৈতিক দল এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করছেন। তাঁর বক্তব্যে দুর্নীতি এবং যুদ্ধাবস্থার মতো বিষয়গুলো উঠে এসেছে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি বড় সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও চায় দেশটি দুর্নীতিমুক্ত হোক। আর কিছু ছাত্রনেতা অতি উৎসাহী হয়ে সেনাকে তাদের একমাত্র বিরোধী ধরে নিয়ে ক্রমাগত আক্রমন চালিয়ে যাচ্ছেন । অন্যান্য ছাত্রনেতারা বর্তমানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন, যা ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ছাত্রনেতারা জাতীয় ঐক্যের জন্য একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করছেন এবং দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ।
Discussion about this post