একটি ভয়ঙ্কর এয়ার স্ট্রাইকের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। রাখাইন প্রদেশে এই ভয়ংকর এয়ার স্ট্রাইক চালালো মিয়ানমারের জুন্তা সরকার।
মূলত এই রাখাইন রাজ্যকে নিয়ে আরাকান ও মিয়ানমার সরকারের সংঘর্ষ প্রকাশ্যে এসেছিল যখন মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এই রাখাইন রাজ্যে নিজেদের আরাকান রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য নিয়েছিল। এই রাখাইন রাজ্য নিয়ে ভারত, মিয়ানমার, চিন ও আমেরিকা এমন একটি সম্পর্ক তৈরি করেছে, যেখানে সমান ভাবে ক্ষতিগোস্ত্র হতে হবে সব পক্ষকেই। এই রাজ্যটি নিয়ে ভারত বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বৈঠকও হয়েছিল কারণ এই রাখাইন বাংলাদেশকে যুক্ত করছে ভুরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। আর সেই রাখাইন প্রদেশেই মিয়ানমারের জুন্তা সরকার একটি ভয়াবহ এয়ার স্ট্রাইক চালায়।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জুন্তা সরকারের বিমান হামলায় অন্তত ৪০জন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গত বুধবার এই এয়ার স্ট্রাইক চালায় জুন্টা বাহিনী এরপর দিন বৃহস্পতিবার একজন উদ্ধারকর্মী ও জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থু খা জানান, গত বুধবার দুপুরে রামরি দ্বীপের কিয়াউক নি মাও গ্রামে সামরিক বিমান থেকে ওই বোমা হামলা হয়। এতে রাখাইন প্রদেশের পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ওই হামলায় প্রাথমিকভাবে ৪০ জন নিহত ও ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হতাহত ব্যক্তিরা প্রত্যেকেই নিরীহ বেসামরিক নাগরিক।
রাখাইন প্রদেশের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে আরাকান আর্মির সঙ্গে জুন্তা বাহিনীর সামরিক বাহিনীর লড়াই চলে আসছে। গত বছর রাখাইনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। এর মধ্য দিয়ে রাখাইনের রাজধানী সিত্তেকে কার্যত বিচ্ছিন্নও করে দিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইনে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিমান হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে, জাতিসংঘ বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির গৃহযুদ্ধ চতুর্থ বছরের কাছাকাছি।
বেসামরিক ছায়া সরকার এবং আরাকান আর্মি, রাখাইনে অবস্থিত একটি জাতিগত মিলিশিয়া এই অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সেনাবাহিনী নোবেল বিজয়ী আং সাং সু চি-এর নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে মিয়ানমার অশান্তিতে রয়েছে, গণ বিক্ষোভকে প্রজ্বলিত করে যা একাধিক ফ্রন্টে ব্যাপক সশস্ত্র বিদ্রোহে পরিণত হয়েছিল।
এমনকি জাতিসংঘের বিবৃতিতে সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ব্লাড মানি ক্যাম্পেইন, মায়ানমারের কর্মীদের একটি জোট যা জুন্তার রাজস্ব বন্ধ করতে কাজ করে, এবং আন্তর্জাতিক সরকারগুলিকে বিমানের জ্বালানি সরবরাহকারী সংস্থাগুলিকে দ্রুত অনুমোদন দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
Discussion about this post