বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক। হঠাৎ কেন এই বৈঠক? এই বৈঠক থেকে কি উঠে এল? তবে কি বাংলাদেশে এমন কিছু হতে চলেছে, যার জন্য এই তড়িঘড়ি বৈঠক? এমন নানা প্রশ্ন উঠে আসছে।
খবর রয়েছে, বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক হয় সেনাপ্রধানের। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই খবর জানানো হয়। বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেন সেনাপ্রধান। সম্প্রতি, ওয়াকার উজ জামান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে যান। তার সফর সম্পর্কে মোহাম্মদ ইউনুসকে অবহিত করেন। পাশাপাশি এটা জানান, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত হবে। এছাড়াও একে অপরকে বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করবে।
এছাড়াও খবর উঠে এসেছে, গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্রদের চিকিৎসাজনিত বিষয়ে সেনাবাহিনীর তরফে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সেই বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান সেনাপ্রধান। তবে প্রকাশিত খবর ছাড়াও আর কি কি বৈঠকে উঠে এসেছে, সেগুলি গোপনই রাখা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ, সেটা সেনাপ্রধান প্রধান উপদেষ্টা কে অবগত না করলে, তার কাছে কি কোন খবর ছিল না? কেন এতদিন পরিস্থিতির ওপর লাগাম টানা হলো না? কেন গোটা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হল?
উল্লেখ্য, মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড ভারত সফর করেছেন। এমনকি ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোবলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারপরই ভারতের গণমাধ্যমকে দেওয়ার সাক্ষাৎ করে তুলসী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি কিন্তু ভয়াবহ। যে দেশে কট্টরপন্থী মৌলবাদী বা জঙ্গিরা বেড়ে ওঠে, সেই দেশ কখনো স্থিতিশীল থাকতে পারে না। এই খবর সামনে আসতেই তেড়ে-ফুরে ওঠে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, তুলসী কাপড়ের এই মন্তব্য ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে। কোন প্রমাণ নেই। এমনকি ঘুর পথে বোঝানোর চেষ্টা হয়, ভারতের থেকে এই খবর পেয়েছেন তুলসী। অর্থাৎ বারে বারে ভারতকে দোষারোপ করা, বাংলাদেশের উপদেষ্টাদের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও তাদের দেশের পরিস্থিতির ওপর লাগাম টানতে পারছে না। যদিও সেনাপ্রধানের ওয়ার্কার উজ জামান বর্তমানে কিছুটা বুঝেছেন। তাই বাংলাদেশের রাস্তায় সেনাবাহিনীকে নামিয়েছেন। কঠোর হাতে দমন করার চেষ্টা করছেন সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপ। এরপরই প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক।
এখন দেখার, এই বৈঠকের পর সেনাপ্রধানের পাশাপাশি মোহম্মদ ইউনূস নড়েচড়ে বসেন কিনা।
Discussion about this post